Saturday, November 22, 2014

যুবতী রাধে

সর্বত মন বলো রাধে বিনোদিনী রাই
বৃন্দাবনের বংশীধারী ঠাকুর কানাই,
একলা রাধে জল ভরিতে যমুনাতে যায়
পিছন থেকে কৃষ্ণ তখন আড়ে আড়ে চায়।

জল ভর জল ভর রাধে, ও গোয়ালের ঝি
কলস আমার পূর্ণ কর রাধে বিনোদি।

কালো মানিক হাত পেতেছে, চাঁদ ধরিতে চায়
বামন কি আর হাত বাড়ালেই চাঁদের দেখা পায়।

কালো কালো করিস না লো, ও গোয়ালের ঝি
আমায় বিধাতা গড়েছে কালো আমি করব কী?
এক কালো যমুনার জল, সর্ব প্রাণী খায়
আরেক কালো আমি কৃষ্ণ, সকল রাধে চায়।

এই কথা শুনিয়া কানাই বাঁশি হাতে নিল
সর্প হয়ে কালো বাঁশি রাধাকে দংশিল,
ডান পায়ে দংশিল রাধের বাম পায়ে ধরিল
মোরা মোরা বলি রাধে জমিনে পড়িলো।

মরবে না মরবে না রাধে, মন্ত্র ভালো জানি
দুই এক খানা ঝাড়া দিয়া বিষ করিবো পানি।

আমারো অঙ্গের বিষ যে ঝাড়িতে পারে
সোনার এই যৌবনখানি দান করিব তারে।

এই কথা শুনিয়া কানাই বিষ ঝারিয়া দিল
ঝেড়ে ঝুড়ে রাধে তখন গৃহবাসে গেল,
গৃহবাসে যেয়ে রাধে আঁড়ে বিছায় চুল
কদমতলায় থাইকা কানাই ফিক্কা মারে ফুল।

বিয়া নাকি করো কানাই, বিয়া নাকি করো
পরেরও রমণী দেখে জ্বালায় জ্বলে মরো।

বিয়া তো করিব রাধে , বিয়া তো করিব
তোমার মত সুন্দর রাধে কোথায় গেলে পাব?

আমার মত সুন্দর রাধে যদি পেতে চাও
গলায় কলসি বেঁধে যমুনাতে যাও।

কোথায় পাব হার কলসি, কোথায় পাব দড়ি
তুমি হও যমুনা রাধে, আমি ডুইবা মরি।

যদি বল

যদি বল হ্যাঁ বিসিএসে বসে যাবো আমি
যদি বল না আওড়াবো জয় গোস্বামী
যদি কর দোনামনা কোল্ড কফি নিয়ে নেবো দুটো
যদি কেঁদে ফেলো তাড়াতাড়ি সামলিয়ে ঊঠ।

কেজো বাড়ির পাশে মেজো বাড়ি
আমরা তবু রোদ্দুর কারী
ধূলো বালির পর বালি ধূলো
হঠাৎ হাওয়া তোর ঠোঁট ছুঁলো
সে তো চাইবেই অস্ফুটে তুমি বলে উঠ।

যদি বল কবি ভাল করে ভাজি ভৈরবী
যদি বল মাছি দশটায় পাঁচটায় বাচিঁ
যদি বল নেতা সানগ্লাস পড়ে মারি কেতা
যদি ডাক সোনা কোন ভন্ডামী রাখবো না।

ঘিঞ্জি মেসটাও দারূন ঠেক
দড়িতে ঝুলে থাকে ভিজে জামা
জূতোর ঘুম থেকে জাগে পেরেক
টাকা পাঠাচ্ছে না মেজো মামা
আমি তো চাইবই এ শহরে তুমি নেমে এসো।

যদি বল প্লেন পিঠে নিয়ে উড়ে যাবো স্পেন
যদি বল গান একাই হই ডো ভারলেন
যদি বল দিন সূর্য্যকে টুটি ধরে আনি
যদি বল রঙ্গীন তোমাকেই শুধু আমি জানি।

ভেবেছো কৌটোর মাঝখানে
ভোমরা রাখা আছে সাবধানে
সোনা কাঠির পাশে রূপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
যেন ঊড়বই তুমি ঠোঁটে নিও খড়কুটো।

যদি বল শাড়ি এক্ষুণি কিনে দিতে পারি
টিউশনি নিতে হবে জুটিয়ে শাসালো কোনো বাড়ি
যদি বল নারী রাখি পুরুষালী চাপ দাঁড়ি
যদি বল আড়ি তোনাকেও ছেড়ে যেতে পারি।

কথা দিয়া বন্ধু

কথা দিয়া বন্ধু ফিরা না আইলা
এ কেমন কথা হায় কি দশা

কানে বাজে তোমার কথা
বুকে বাজে তাই ব্যথা
কানের কথা বুকের ব্যথা হইয়া
আমার প্রাণে জাগায় যে হতাশা
হায়! হায়! সব হারাইয়া কান্দি তো
আশার ছলনায় ভুইল্যা গিয়া
আজি পথে বসিলাম গো
কবে তুমি ফিরা আসিবা বন্ধু
রইলাম তার আশায় হায় দুরাশা
ভাইবা হইলাম আকুল
আর শুকায় যে মালার ফুল
সঙ্গে শুকাইলো মোর প্রাণটা আর মনটা
করি সব কাজে বিষম ভুল
হায় সব হারাইয়া…

Tuesday, November 18, 2014

They're Hanging Me Tonight

When I hear the rain a comin' down it makes me sad and blue
Was on a rainy night like this that Flo said we were through.
I told her how I loved her, and I begged her not to go
But another man had changed her mind so I said goodbye to Flo.

Alone within my cell tonight my heart is filled with fear
The only sound within the room is the falling of each tear.
I think about the thing I've done, I know it wasn't right
They'll bury Flo tomorrow, but they're hanging me tonight,
They're hanging me tonight!

That night he came and took my Flo and headed in to town
I knew I had to find this man and try to gun him down
As I walked by a dim cafe and I looked through the door
I saw my Flo with her new love and I couldn't stand no more,
I couldn't stand no more.

I took my pistol from my hip and with a trembling hand
I took the life of pretty Flo and that good for nothin' man
That good for nothin' man!
I think about the thing I've done I know it wasn't right
They'll bury Flo tomorrow, but they're hanging me tonight,
They're hanging me tonight.

তোমায় দিলাম

শহরের উষ্ণতম দিনে
পিচ গলা রোদ্দুরে
বৃষ্টির বিশ্বাস
তোমায় দিলাম আজ।

আর কিই বা দিতে পারি
পুরনো মিছিলে পুরনো ট্রামেদের সারি
ফুটপাত ঘেঁষা বেলুন গাড়ি
সুতো বাঁধা যত লাল আর সাদা
ওরাই আমার থতমত এই শহরের
রডোডেনড্রন
তোমায় দিলাম আজ।

কি আছে আর
গভীর রাতের নিয়ন আলোয়
আলোকিত যত রেস্তোঁরা আর
সবথেকে উঁচু ফ্ল্যাটবাড়িটার সবথেকে উঁচু ছাদ
তোমায় দিলাম আজ।

পারব না দিতে
ঘাসফুল আর ধানের গন্ধ
স্নিগ্ধ যা কিছু দুহাত ভরে আজ
ফুসফুস খোঁজে পোড়া ডিজেলের আজন্ম আশ্বাস
তোমায় দিলাম আজ।

শহরের কবিতা আর ছবি, সবই
তোমায় দিলাম আজ।

ভিনদেশী তারা

আমার ভিনদেশী তারা
একা রাতেরই আকাশে
তুমি বাজালে একতারা
আমার চিলে কোঠার পাশে।

ঠিক সন্ধ্যে নামের মুখে
তোমার নাম ধরে কেউ ডাকে
মুখ লুকিয়ে কার বুকে
তোমার গল্প বলো কাকে?

আমার রাতজাগা তারা
তোমার অন্য পাড়ায় বাড়ি
আমায় ভয় পাওয়া চেহারা
আমি আদতে আনাড়ি।

আমার আকাশ দেখা ঘুড়ি
কিছু মিথ্যে বাহাদুড়ি
আমার চোখ বেঁধে দাও আলো
দাও শান্ত শীতল পাটি
তুমি মায়ের মতই ভালো
আমি একলাটি পথ হাঁঠি…

আমার বিচ্ছিরি একতারা
তুমি নাওনা কথা কানে
তোমার কিসের এত তাড়া?
এ রাস্তা পার হবে সাবধানে…

তোমার গায় লাগেনা ধুলো
আমার দু’মুঠো চাল-চুলো
রাখো শরীরে হাত যদি
আর জল মাখো দুই হাতে…

প্লীজ ঘুম হয়ে যাও চোখে
আমার মন খারাপের রাতে
আমার রাতজাগা তারা
তোমার আকাশ ছোয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী…

আমার রাতজাগা তারা
তোমার আকাশ ছোঁয়া বাড়ি
আমি পাইনা ছুঁতে তোমায়
আমার একলা লাগে ভারী…

কবে যাব পাহাড়ে

কবে পাব তাহার দেখা, আহারে আহারে
কবে শাল মহুয়ার, কনক চাঁপার
মালা দেব তাহারে, আহারে আহারে।
কবে যাব পাহাড়ে, আহারে।।

আমি গায় মাখিয়া রাঙ্গামাটি নাচবো ধি তান প্রহরে
খুজবো সবুজ বন ফুলে, খুজে না পাই যাহারে।

মাতাল মনের জারুল ঢঙ্গে, সন্ধ্যা শিমুল অস্ত রঙ্গে
সে ঝর্না ছড়ায় রুপালি চাঁদ, নাচলো নূপুর পাহাড়ে, আহারে।

আমি নিশি শেষে শীত কুয়াশার জড়িয়ে চাদর তাহারে
শিশির ধুলায় বুনো পায়ে আনবো মেখে শহরে।

বলবো পাখি- পলাশ দেব, খোপায় হলুদ গাঁদা দেব।
জড়িয়ে রাখিস সারা জীবন,
যেমন ছিলি পাহাড়ে, আহারে আহারে, আহারে আহারে।

কবে যাব পাহাড়ে –আহারে আহারে
কবে শাল মহুয়ার, কনক চাঁপার মালা দেব তাহারে, আহারে আহারে।

কালো যমুনা

কালো যমুনাতে যাও গো রাধে কাহারও টানে
যার লাগি অঙ্গ জ্বলে সে কি জানে?

না বোঝে অবুঝ রাধা , কী বাঁধনে অন্তর বাঁধা
কী বাশি বাজিলে অঙ্গ রয় না শয়ানে
তুমি মনে মনে মন বাঁধিলা কী মায়ার বানে
যার লাগি অঙ্গ জ্বলে সে কি জানে?

এমন বিধান এই দুনিয়ার, হয় না হিসাব দুঃখ ব্যথার
যাহার বেদন সেই গো জানে, না বোঝে কেউ আর।

না বুঝিলা নিঠুর কালা, রাইকিশোরির অন্তর-জ্বালা
কোন দরিয়ায় ঢেউ উঠাইলা বাঁশির গানে,
তুমি ভালো বোঝো, মন্দ বোঝো
তুমি স্বর্গ বোঝো, নরক বোঝো,
তুমি সবই বোঝো, আর বোঝো না কী এই পরানে
যার লাগি অঙ্গ জ্বলে সে কি জানে?

Monday, September 29, 2014

প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস

প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস–
তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।
এ সংসারের নিত্য খেলায় প্রতিদিনের প্রাণের মেলায়
বাটে ঘাটে হাজার লোকের হাস্য-পরিহাস–
মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ।।
আমের বনে দোলা লাগে, মুকুল প’ড়ে ঝ’রে–
চিরকালের চেনা গন্ধ হাওয়ায় ওঠে ভ’রে ।
মঞ্জরিত শাখায় শাখায়, মউমাছিদের পাখায় পাখায়,
ক্ষণে ক্ষণে বসন্তদিন ফেলেছে নিশ্বাস–
মাঝখানে তার তোমার চোখে আমার সর্বনাশ।।

Sunday, September 28, 2014

নবাব

নবাব নবাবী করে, নেতা নেতা-গিরি
ট্রেনে ট্রেনে গান গায় বাউল ভিকিরী ।।
দালাল তোয়াজ করে, দাদা গাজোয়ারি
রিক্সায় শিস্‌ দেয় জোয়ান সওয়ারী।

যুবকরা প্রেম করে, প্রৌঢ়রা ঘর।
ঘরে ঘরে হানা দেয় বাজারের দর।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে
ছেলে মেয়েগুলো যেন থাকে দুধে-ভাতে।

খেলোয়াড় খ্যালে আর দেখোয়ার দ্যাখে
এতো দ্যাখে, তবু লোকে পদে পদে ঠ্যাকে।
লেখকেরা লেখে আর প্রকাশক ছাপে
সাহিত্য মরে পূজো সংখ্যার চাপে।

বেকার চাকরী খোঁজে, প্রমোটার প্লট
ধর্মের ষাঁড় খোঁজে হিং-টিং-ছট।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে
ছেলে মেয়েগুলো যেন থাকে দুধে-ভাতে।

নাচিয়েরা নেচে নেয়,বাঁচিয়েরা বাঁচে
বাঁচবে কি করে লোকে, নিভে যাওয়া আঁচে ?
তবলিয়ে ঠেকা দায়,আঁকিয়েরা রঙ
তালে তাল দিয়ে যায়, হ্যাঁ-হ্যাঁ বলা সং…

থলি হাতে যায় লোকে অলিতে গলিতে
জীবন আসলে বাঁধা পাকস্থলীতে।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে
ছেলে মেয়েগুলো যেন থাকে দুধে-ভাতে।

মানিয়েরা মেনে নেয় একধার থেকে
কেউ কেউ যায় তবু প্রতিবাদ রেখে।
নাইয়ে স্নান করে ,গাইয়েরা গান
বাইয়েরা বেয়ে যান, খাইয়েরা খান।

ছেলেরা আড্ডা দেয়,গয়লানি ঘোটে
মিছি মিছি কালি দেয় যারা হিংসুটে
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে
ছেলে মেয়েগুলো যেন থাকে দুধে-ভাতে।

বক্তা বুকনি মারে, ভাত মারে কারা ?
রাজনীতি দিয়ে ঢাকা তাদের চেহারা।
কেউ ছোড়ে হাত বোমা, কেউবা প্রণামী
গান ছুড়ে ছুড়ে করি টাকার গোলামী।

গোলাম মালিক খোঁজে, মালিক গোলাম
গোলাম হয়েও আমি গেয়ে রাখলাম।
মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে
ছেলে মেয়েগুলো যেন থাকে দুধে-ভাতে।

Tuesday, August 19, 2014

Downtown

When you're alone and life is making you lonely
You can always go downtown
When you've got worries, all the noise and the hurry
Seems to help, I know, downtown.

Just listen to the music of the traffic in the city
Linger on the sidewalk where the neon signs are pretty
How can you lose?
The lights are much brighter there
You can forget all your troubles, forget all your cares.

So go downtown
Things will be great when you're downtown
No finer place for sure, downtown
Everything's waiting for you.

Don't hang around and let your problems surround you
There are movie shows downtown
Maybe you know some little places to go to
Where they never close downtown.

Just listen to the rhythm of a gentle bossa nova
You'll be dancing with 'em too before the night is over
Happy again
The lights are much brighter there
You can forget all your troubles, forget all your cares.

So go downtown
Where all the lights are bright, downtown
Waiting for you tonight, downtown
You're gonna be alright now, downtown.

Downtown
Downtown...

And you may find somebody kind to help and understand you
Someone who is just like you and needs a gentle hand to
Guide them along
So maybe I'll see you there
We can forget all our troubles, forget all our cares.

So go downtown
Things will be great when you're downtown
Don't wait a minute more, downtown
Everything is waiting for you, downtown.

Downtown (downtown)...

Across the Universe

Words are flowing out like endless rain into a paper cup
They slither wildly as they slip away across the universe.
Pools of sorrow, waves of joy are drifting through my opened mind
Possessing and caressing me...
Jai Guru Deva OM.

Nothing's gonna change my world...

Images of broken light which dance before me like a million eyes
They call me on and on across the universe,
Thoughts meander like a restless wind inside a letter box
They tumble blindly as they make their way across the universe...
Jai Guru Deva OM.

Sounds of laughter, shades of life are ringing through my open ears
Inciting and inviting me,
Limitless undying love which shines around me like a million suns
It calls me on and on, across the universe...
Jai Guru Deva OM.
Jai Guru Deva...

আমি চাই

আমি চাই সাঁওতাল তার ভাষায় বলবে রাষ্ট্রপুঞ্জ
আমি চাই মহল ফুটবে সৌখিনতার গোলাপ কুঞ্জে।

আমি চাই নেপালি ছেলেটা গিটার হাতে
আমি চাই তার ভাষাতেই গাইতে আসবে কলকাতাতে।

আমি চাই ঝাড়খণ্ডের তীর ধনুকে
আমি চাই ঝুমুর বাজবে ঝুমুর বাজবে তোমার বুকে।

আমি চাই কাশ্মীরে আর শুনবে না কেউ গুলির শব্দ
আমি চাই মানুষের হাতে রাজনীতি হবে ভীষণ জব্দ।

আমি চাই হিন্দু নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু,
আমি চাই বিজেপি নেতার সালমা খাতুন পুত্র বধূ
আমি চাই ধর্ম বলতে মানুষ বুঝবে মানুষ শুধু।

আমি চাই গাছ কাতা হলে শোক সভা হবে বিধান সভায়
আমি চাই প্রতিবাদ হবে রক্ত পলাশে রক্ত জবায়।
আমি চাই পুকুর বাঁচালে আকাশ ভাসবে চোখের জ্বলে
আমি চাই সব্বাই জানও দিন বদলের পদ্য বলে।

আমি চাই মন্ত্রীরা প্রেম করুন সকলে নিয়ম করে
আমি চাই বক্তৃতা নয় কবিতা বলুন কণ্ঠ ধরে।

যদি বল চাইছি নেহাত…যদি বল চাইছি নেহাত চাইছি নেহাত স্বর্গ রাজ্য
আমি চাই একদিন হবে একদিন হবে এটাই গ্রাহ্য।

Monday, August 18, 2014

আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে

আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে
নিশুতি রাত গুমরে কাঁদে,
মনের ময়ুর মরেছে ঐ
ময়ুর মহলেই,
দেখি মুকুটটা তো পড়ে আছে
রাজাই শুধু নেই,
আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে...

দরবারে তার ছিলো আমার সোনার সিংহাসন
আমি হাজার হাতের সেলাম পেলাম
পেলাম না তো মন,
আজ মখমলের ঐ পর্দাগুলো
ওড়ায় শুধু স্মৃতির ধূলো
ফুলবাগানের বাতাস এসে
আছড়ে পড়ে যেই,
দেখি মুকুটটা তো পড়ে আছে
রাজাই শুধু নেই,
আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে...

আমার নাচঘরে যেই পাগল হত
নূপুর তোমার পায়,
আমি ইরান দেশের গোলাপ ছুঁড়ে
দিতাম তোমার গায়,
তুমি শ্বেত পাথরের গেলাস ভরে
অনেক শুধা দিতে ভরে,
আমি বিষও পেলাম তোমার দেয়া
ঐ পেয়ালাতেই,
দেখি মুকুটটা তো পড়ে আছে
রাজাই শুধু নেই,
আমার ভালোবাসার রাজপ্রাসাদে।

আমার বলার কিছু ছিল না

আমার বলার কিছু ছিল না
না-গো আমার বলার কিছু ছিল না,
চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে চলে
তুমি চলে গেলে চেয়ে চেয়ে দেখলাম,
আমার বলার কিছু ছিল না।

সব কিছু নিয়ে গেলে যা দিয়েছিলে
আনন্দ হাসি গান সব তুমি নিলে।।

যাবার বেলায় শুধু নিজেরই অজান্তে
স্মৃতি টাই গেলে তুমি ফেলে,
তুমি চলে গেলে
আমার বলার কিছু ছিল না
না-গো আমার বলার কিছু ছিল না।

দু’হাতে তোমার ওগো
এতকিছু ধরে গেল
ধরলো না শুধু এই স্মৃতি টা,
রয়ে গেল শেষ দিন
রয়ে গেলো সেদিনের প্রথম দেখার সেই ইতিটা।

কোথা থেকে কখন যে কি হয়ে গেল
সাজানো ফুলের বনে ঝড় বয়ে গেল,
সে ঝড় থামার পরে পৃথিবী আঁধার হলো
তবু দেখি দ্বীপ গেছো জ্বেলে,
তুমি চলে গেলে
আমার বলার কিছু ছিল না,
চেয়ে চেয়ে দেখলাম তুমি চলে চলে
তুমি চলে গেলে চেয়ে চেয়ে দেখলাম,
আমার বলার কিছু ছিল না,
না-গো আমার বলার কিছু ছিল না।

Thursday, August 14, 2014

পল্লী-বর্ষা

আজিকের রোদ ঘুমায়ে পড়িয়া ঘোলাট-মেঘের আড়ে,
কেয়া-বন পথে স্বপন বুনিছে ছল ছল জল-ধারে।
কাহার ঝিয়ারী কদম্ব-শাখে নিঝ্ঝুম নিরালায়,
ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে অস্ফুট কলিকায়!
বাদলের জলে নাহিয়া সে মেয়ে হেসে কুটি কুটি হয়,
সে হাসি তাহার অধর নিঙাড়ি লুটাইছে বনময়।
কাননের পথে লহর খেলিছে অবিরাম জল-ধারা
তারি স্রোতে আজি শুকনো পাতারা ছুটিয়াছে ঘরছাড়া!
হিজলের বন ফুলের আখরে লিখিয়া রঙিন চিঠি,
নিরালা বাদলে ভাসায়ে দিয়েছে না জানি সে কোন দিঠি!
চিঠির উপরে চিঠি ভেসে যায় জনহীন বন বাটে,
না জানি তাহারা ভিড়িবে যাইয়া কার কেয়া-বন ঘাটে!
কোন্ সে বিরল বুনো ঝাউ শাখে বুনিয়া গোলাপী শাড়ী, -
হয়ত আজিও চেয়ে আছে পথে কানন-কুমার তারি!
দিকে দিগেনে- যতদূর চাহি, পাংশু মেঘের জাল
পায়ে জড়াইয়া পথে দাঁড়ায়েছে আজিকার মহাকাল।

গাঁয়ের চাষীরা মিলিয়াছে আসি মোড়লের দলিজায়, -
গল্পের গানে কি জাগাইতে চাহে আজিকার দিনটায়!
কেউ বসে বসে বাখারী চাঁচিছে, কেউ পাকাইছে রসি,
কেউবা নতুন দোয়াড়ীর গায়ে চাঁকা বাঁধে কসি কসি।
কেউ তুলিতেছে বাঁশের লাঠিতে সুন্দর করে ফুল
কেউবা গড়িছে সারিন্দা এক কাঠ কেটে নির্ভুল।
মাঝখানে বসে গাঁয়ের বৃদ্ধ, করুণ ভাটীর সুরে,
আমীর সাধুর কাহিনী কহিছে সারাটি দলিজা জুড়ে।

লাঠির উপরে, ফুলের উপরে আঁকা হইতেছে ফুল,
কঠিন কাঠ সে সারিন্দা হয়ে বাজিতেছে নির্ভুল।
তারি সাথে সাথে গল্প চলেছে- আমীর সাধুর নাও,
বহুদেশ ঘুরে আজিকে আবার ফিরিয়াছে নিজ গাঁও।
ডাব্বা হুঁকাও চলিয়াছে ছুটি এর হতে ওর হাতে,
নানান রকম রসি বুনানও হইতেছে তার সাথে।
বাহিরে নাচিছে ঝর ঝর জল, গুরু গুরু মেঘ ডাকে,
এ সবের মাঝে রূপ-কথা যেন আর রূপকথা আঁকে!
যেন ও বৃদ্ধ, গাঁয়ের চাষীরা, আর ওই রূপ-কথা,
বাদলের সাথে মিশিয়া গড়িছে আরেক কল্প-লতা।

বউদের আজ কোনো কাজ নাই, বেড়ায় বাঁধিয়া রসি,
সমুদ্রকলি শিকা বুনাইয়া নীরবে দেখিছে বসি।
কেউবা রঙিন কাঁথায় মেলিয়া বুকের স্বপনখানি,
তারে ভাষা দেয় দীঘল সূতার মায়াবী নকসা টানি।
বৈদেশী কোন্ বন্ধুর লাগি মন তার কেঁদে ফেরে,
মিঠে-সুরি-গান কাঁপিয়ে রঙিন ঠোঁটের বাঁধন ছেঁড়ে।

আজিকে বাহিরে শুধু ক্রন্দন ছল ছল জলধারে,
বেণু-বনে বায়ু নাড়ে এলোকেশ, মন যেন চায় কারে।

হেমন্ত

সবুজ পাতার খামের ভেতর
হলুদ গাঁদা চিঠি লেখে
কোন্ পাথারের ওপার থেকে
আনল ডেকে হেমন্তকে?

আনল ডেকে মটরশুঁটি,
খেসারি আর কলাই ফুলে
আনল ডেকে কুয়াশাকে
সাঁঝ সকালে নদীর কূলে।

সকাল বেলায় শিশির ভেজা
ঘাসের ওপর চলতে গিয়ে
হাল্কা মধুর শীতের ছোঁয়ায়
শরীর ওঠে শিরশিরিয়ে।

আরও এল সাথে সাথে
নুতন গাছের খেজুর রসে
লোভ দেখিয়ে মিষ্টি পিঠা
মিষ্টি রোদে খেতে বসে।

হেমন্ত তার শিশির ভেজা
আঁচল তলে শিউলি বোঁটায়
চুপে চুপে রং মাখাল
আকাশ থেকে ফোঁটায় ফোঁটায়।

দিশেহারা

দিশেহারা যে মোর মন,
কিসে সার্থক এ জীবন?
খুঁজে ফিরি কোথা নেব ঠাঁই।
চারিদিকে সবাই মোর,
কেউ ভালো কেউ মন্দ ঘোর,
আপন মাঠ চেঁচেঁ সেথা বেড়াই।

মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!
মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!

কেউ বা মাথায় কেউ পিঠে,
আমার বোলায় হাত মিঠে,
দিয়ে যায় কতনা বাহবাই।

কারু সন্দেহ অতি,
শেষে হল এই গতি!
গেল কি বিফলে জীবনটাই?

মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!
মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!

পাগল হয়ে যে আমি দামী হই আরো দামী
কত দাম জানিনা আমার চাই।

নেবে কে কিনে আমায়
তাতে কি-বা আসে যায়
থেমে যেতে ভরসা না পাই।

মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!
মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!

ছিল বন্ধু এক আমার
পেলেম হঠাৎ দেখা তার,
ভবঘুরে চালাচুলো নাই।

তবু খুশীর হাসির রেশ
ঠোঁটে হয়না যে তার শেষ
কি তার দাম সে করেইনি যাচাই।

মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!
মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!

শোনো যদি কোনোদিন
আমি হঠাৎ ভাবনাহীন
রাখিনি কোনো যে ঠিকানাই।

জেনো খোঁজা আমার শেষ
তাই হলেম যে নিরুদ্দেশ
সাথে করে শুধু হৃদয়টাই।।

মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!
মনে ভাবনা তবু ঘিরে রয়েছে সদাই,
এত চাওয়া নিয়ে কোথা যাই!

ময়মনসিংহ গীতিকা

নয়া বাড়ী লইয়ার বাইদ্যা লাগাইল বাইঙ্গন,
সেই বাইঙ্গন তুলতে কইন্যা জুড়িল কাইন্দন গো জুড়িল কাইন্দন।।

কাইন্দ না কাইন্দ না কইন্যা না কান্দিয়ো আর,
সেই বাইঙ্গন বেইচ্যা দিয়াম তোমার গলায় হার গো তোমার গলার হার।।

নয়া বাড়ী লইয়ার বাইদ্যা লাগাইলো কচু,
সেই কচু বেচ্যা দিয়াম তোমার হাতের বাজু গো তোমার হাতের বাজু।।

নয়া বাড়ী লইয়ার বাইদ্যা লাগাইলো কলা,
সেই কলা বেইচ্যা দিয়াম তোমার গলার মালা গো তোমার গলার মালা।।

নয়া বাড়ী লইয়ার বাইদ্যা বানলো চৌকারী,
চৌদিকে মালঞ্চের বেড়া আয়না সারি সারি গো আয়না সারি সারি।।

হাস মারলাম কইতর মারলাম মাইছ্যা মারলাম টিয়া।
বালা কইরা রাইন্দো বেগুন কালাজিরা দিয়া গো কালাজিরা দিয়া।।

ভালবাসি তোমায়

জানাতে যত যাই কথায়, হারায় ততই মানে,
ভালবাসি তোমায়, তাই জানাই গানে।
জানাতে যত যাই কথায়, হারায় ততই মানে,
ভালবাসি তোমায়, তাই জানাই গানে।।

কেন এমন যে মনে হয়, কথা শুধুই কথা আর নয়,
যেন উজার করে চায় দিতে আজ যা কিছু প্রানে।
ভালবাসি তোমায়, তাই জানাই গানে।
জানাতে যত যাই কথায়, হারায় ততই মানে,
ভালবাসি তোমায়, তাই জানাই গানে।।

কিছুতেই হয়না বলা আর, শত কথায়ও যা বলার,
কিছুতেই হয়না বলা আর, শত কথায়ও যা বলার।
বুঝি জানাতে চাই সব যারে মোর আপনি সে জানে,
ভালবাসি তোমায়, তাই জানাই গানে।
জানাতে যত যাই কথায়, হারায় ততই মানে,
ভালবাসি তোমায়, তাই জানাই গানে।।

ঘরে ফেরার গান

আমি গাই ঘরে ফেরার গান,
উতলা কেন এ প্রান?
শুধু যে ডাকে, ফিরে আমাকে,
বিদেশ বিভুয়ে পড়ে আছি,
তবু ছাড়ে না, কেন ছাড়ে না পিছুটান?

আমি তাই এখনো ক্লান্তিহীন, চলেছি রাত্রি-দিন।
শুনে চমকে, যাই থমকে,
কোথা হতে যেন ভেসে আসে সুর চেনা,
খুব চেনা মন মাঝে অমলিন...

ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি?
পেরিয়েছ দেশ-কাল, জাননা কি এসময়?
এখনো সামনে পথ হাটা বাকি,
চাইলেও দিতে পারবেনা ফাঁকি নিশ্চয়!

ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি?
পেরিয়েছ দেশ-কাল, জাননা কি এসময়?
এখনো সামনে পথ হাটা বাকি,
চাইলেও দিতে পারবেনা ফাঁকি নিশ্চয়!

আমি চাই ফিরে যেতে সেই গায়,
বাধানো বটের ছায়।
সেই নদীতে, হাওয়া ঝিরঝির।
মনের গভীরে পড়ে থাকা যত স্মৃতি- বিস্মৃতি
কখনো কি ভোলা যায়...

আমি প্রায়ই, এখনো খুজিঁ সে দেশ,
যার নেই অবশেষ।
মরীচিকা হায়, স্বপ্ন দেখায়।
শৈশবে আর ফেরা যাবে নাতো
নেই পথ নেই, হারিয়ে গেছে সে দেশ।

ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি?
পেরিয়েছ দেশ-কাল, জাননা কি এসময়?
এখনো সামনে পথ হাটা বাকি,
চাইলেও দিতে পারবেনা ফাঁকি নিশ্চয়!

ফিরব বললে ফেরা যায় নাকি?
পেরিয়েছ দেশ-কাল, জাননা কি এসময়?
এখনো সামনে পথ হাটা বাকি,
চাইলেও দিতে পারবেনা ফাঁকি নিশ্চয়!

আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি

আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি 
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি,
তার নীল দেওয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারী 
তার কাঁচ দেওয়াল যেন স্বপ্ন বেলোয়ারী।
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি
দেখা যায় তোমাদের বাড়ি।

চিলেকোঠায় বসা বাদামী বেড়াল বোনে শূণ্যে মায়াজাল,
ছাইরঙা প্যাঁচা সে চোখ টিপে বসে আছে কত না বছরকাল।

কালো দরজা খুলে বাইরে তুমি এলে
বাগানের গাছে হাসি ছড়াবে বুনোফুলে,
এই বাড়ির নেই ঠিকানা, শুধু অজানা লাল সুরকির পথ শূণ্যে দেয় পাড়ি,
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা, শুধু অজানা লাল সুরকির পথ শূণ্যে দেয় পাড়ি,
বাঁকানো সিঁড়ির পথে, সেখানে নেমে আসে চাঁদের আলো,
কাওকে চেনো না তুমি, তোমাকে চেনে না কেউ সেই তো ভালো।
সেথা একলা তুমি গান গেয়ে ঘুরে ফিরে,
তোমার এলোচুল ঐ বাতাসে শুধু ওড়ে।

সেই বাড়ির নেই ঠিকানা, শুধু অজানা লাল সুরকির পথ শূণ্যে দেয় পাড়ি,
আকাশে ছড়ানো মেঘের কাছাকাছি, দেখা যায় তোমাদের বাড়ি৷

Monday, August 11, 2014

ভালোবাসি জ্যোৎস্নায়

ভালোবাসি জ্যোৎস্নায় কাশবনে ছুটতে
ছায়াঘেরা মেঠোপথে ভালোবাসি হাঁটতে,
দূর পাহাড়ের গায়ে গোধূলীর আলো মেখে
কাছে ডাকে ধান ক্ষেত সবুজ দিগন্তে,
তবু কিছুই যেন ভালো যে লাগে না কেন
উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন,
কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও...

ভালোলাগে ডিঙি নৌকায় চড়ে ভাসতে
প্রজাপতি বুনোহাঁস ভালো লাগে দেখতে,
জানলার কোণে বসে উদাসী বিকেল দেখে
ভালোলাগে একমনে কবিতা পড়তে,
তবু কিছুই যেন ভালো যে লাগে না কেন
উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন,
কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও...

যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে
শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে,
তখন ভালো লাগেনা লাগেনা কোনো কিছুই...
সুদিন কাছে এসো, ভালোবাসি একসাথে আজ সবকিছু।।

ভালোবাসি পিকাসো বুনুয়েল দান্তে
বিটলস ডিলান আর বেটোভেন শুনতে,
রবিশঙ্কর আর আলি আকবর শুনে
ভালোলাগে ভোরে কুয়াশায় ঘরে ফিরতে,
তবু কিছুই যেন ভালো যে লাগে না কেন
উদাসী পথের মাঝে মন পড়ে থাকে যেন,
কোথায় রয়েছে ভাবি লুকিয়ে বিষাদ তবুও...

যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে
শুধুই ফসল ফলায় ঘাম ঝরায় মাঠে প্রান্তরে
তখন ভালো লাগেনা লাগেনা কোনো কিছুই
সুদিন কাছে এসো ভালোবাসি একসাথে আজ সবকিছু।।

Thursday, July 10, 2014

বাঙালী করেছে ভগবান

ও মনো রে, বাঙালী করেছে ভগবান রে...

আমি যদি জার্মান হতাম
বোতল বোতল বিয়ার খেতাম,
আবার কনসার্টে পিয়ানো শুনতাম
দেখতিস আমার মান রে।

আমি যদি ফ্রেঞ্চ হতাম
চিজ রুটি আর ওয়াইন খেতাম,
গায়ে পার্ফিউম মেখে করতাম
সংস্কৃতির ভান রে।

আমি যদি ইটালিয়ান হতাম
পিৎজা কাপুচিনো খেতাম,
ভূমধ্য সাগরে আবার করতাম
আমি স্নান রে।

আমি যদি বৃটিশ হতাম
কাউন্টি লীগে চিকেন খেতাম,
আবার রানীর থেকে নাইটহুড পেতাম
করতাম হুইস্কি পান রে।

আমি যদি স্প্যানীশ হতাম
ফ্ল্যামিঙ্গো গিটার বাজাইতাম,
বুল ফাইটিং করতাম দেখতি
মাতাজলের জান রে।

আমি যদি আমেরিকান হতাম
দাদাগিরি খুব ফলাতাম,
আবার স্যাংশানের ভয় দেখিয়ে
মলে দিতাম কান রে।

বঙ্গদেশে জন্ম হলো
বাঙালী হয়ে থাকতে হলো,
পেটে ভীষণ ক্ষিধা তবু
মুখে বাউল গান রে।
বাঙালী করেছে ভগবান রে...

সেই ফুলের দল

রাবেয়া কি রুখসানা, ঠিক তো মনে পড়েনা
অস্থির এ ভাবনা, শুধু করে আনাগোনা,
ফেলে আসা দিন তার মিছে মনে হয়, নামে কিবা আসে যায়।
সোহাগে আদরে জানি রেখেছিল কেউ এই নাম...

আব্বা না আপা নাকি, কারো মনে পড়ে তা-কি,
তোমরা তা জান নাকি, সময় দিয়েছে ফাঁকি,
অভিমানে সে মেয়েটি গেছে হারিয়ে, বুকে ভরসা নিয়ে।
সীমান্ত পেরিয়ে সে এসেছিল ছেড়ে তার গ্রাম...

জানি সে কোথায়, এই শহরের কোন বাগানে সে হয়ে আছে ফুল,
প্রতি সন্ধ্যায়, পাঁপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল...

এই মেয়েটির মত, আরেকটি মেয়ে সে-ত
সন্ধ্যাপ্রদীপ দিত, যত্নে গান শোনাত,
হালকা পায়ে বেড়াত, বেণী দুলিয়ে, কে যে নিল ভুলিয়ে।
খেলার সাথীরা তার খুঁজতে আসেনা আর রোজ...

লক্ষী নামের মেয়ে, আজও তার পথ চেয়ে
ফেলে আসা তার গাঁয়ে, মা কাঁদে মুখ লুকিয়ে,
সন্ধ্যেবেলায় শাঁখ বাজেনাতো আর, এতে আছে কী বলার।
আজও কেউ জানেনা তো কোথায় সে হয়েছে নিখোঁজ...

লক্ষী রুখসানারা, আরও যত ঘরছাড়া
ত্রস্ত দিশেহারা, তখনই যাদুকরেরা,
নিমেষে বানিয়ে দেয় বাগানের ফুল, ঠিক নির্ভুল।
এভাবে মেয়েরা সব একে একে ফুল হয়ে যায়...

নতুন বাগানে এসে, নিজেকে না ভালবেসে
ফুলের দলেরা শেষে, কথা বলে হেসে হেসে,
পদ্ম-গোলাপ-জুঁই, চম্পা-চামেলী, উলো টগর-শেফালী।
পোড়ারমুখীরা তোরা ফুল হয়ে রয়ে গেলি হায়...

Wednesday, July 9, 2014

Gloomy Sunday

Sunday is gloomy,
My hours are slumber-less
Dearest the shadows
I live with are numberless.

Little white flowers
Will never awaken you
Not where the black coach
Sorrow has taken you.

Angels have no thoughts
Of ever returning you
Would they be angry
If I thought of joining you?

Gloomy is Sunday,
With shadows I spend it all
My heart and I
Have decided to end it all.

Soon there'll be candles
And prayers that are said I know
But let them not weep
Let them know that I'm glad to go.

Death is no dream
For in death I'm caressin' you
With the last breath of my soul
I'll be blessin' you.

Dreaming, I was only dreaming
I wake and I find you asleep
In the deep of my heart here
Darling I hope.

That my dream never haunted you
My heart is tellin' you
How much I wanted you
Gloomy Sunday.

Blackbird's Song

Pack your things
Leave somehow
Blackbird song
Is over now.
Mouths are dry
River runs
Hands are tied
Preachers son.

Pack your things
Leave somehow
Blackbird song
Is over now.
Don't be scared
I'm still here
No more time
For crying dear.

মেঘ থম থম করে

মেঘ থম থম করে কেউ নেই
জল থই থই করে কিছু নেই
ভাঙনের যে নেই পারাপার
তুমি আমি সব একাকার
মেঘ থম থম করে কেউ নেই।

কোথায় জানিনা, মেঘ ছিল যে কোথায়?
সীমানা পেরিয়ে সব মিশে যেতে চায়
মেঘ থম থম করে কেউ নেই
জল থই থই করে কিছু নেই
আঁধারের যে নেই পারাপার
মেঘ থম থম করে কেউ নেই।

পুরানো সব নিয়ম ভাঙে অনিয়মের ঝড়
ঝড়ো হাওয়া ভেঙে দিল মিথ্যে তাসের ঘর।
নুতন মাটিতে আসে ফসলেরই কাল
আঁধার পেরিয়ে আসে আগামী সকাল।

রাত ঘুম ঘুম ভোরে জাগে ঐ
রোদ ঝলমল করে দেখ ঐ
বাতাসের যে নেই হাহাকার
পথ নেই যে পথ হারাবার
রাত ঘুম ঘুম ভোরে জাগে ঐ।

দুপুরের খামোকা খেয়াল

দুপুরের খামোকা খেয়াল
ভাঙা তাক পুরনো দেয়াল,
খুঁজে পাওয়া বই জানতে চায়
বান্ধবী আছে কে কোথায়,
ধূলো লাগা চেনা বই সব
হাতড়ায় কেনা শৈশব,
ধূলো লাগা চেনা বই সব
ভালবাসে কে না শৈশব,
এক আকাশ ভর্তি অভিমান
কোনদিন গাইবো না যে গান।

খুঁজে পাওয়া বই, রাত জাগা চোখ
আমি পড়বই, যন্ত্রণা হোক।

কখনোই পাত্তা দাওনি যাকে
গোপনীয় আজও বইয়ের ফাঁকে
ভালবাসা বিবর্ণ পালকে...

ভাল থেকো শুভ জন্মদিন
লেখাগুলো আজও অমলীন,
বেখেয়ালে খুঁজে পাওয়া বই
ভাল আর থাকতে দিচ্ছে কই,
বৃষ্টির জলে ধোয়া ছাদ
ভুল করে ছুঁয়ে দেওয়া হাত,
এখনো কি ভুল করে তুই
একা একা ভাববো না কিছুই,
শুধু আদরের ছিল অঙ্গীকার
যদি একটুও, আর একটিবার।

একদিন গোধূলী আলোকে
খেলেছিল উদাসী বালকে
সেদিনের সোনালী পালকে...

যে সবে বঙ্গেত জন্মি

কিতাব পড়িতে যার নাহিক অভ্যাস।
সে সবে কহিল মোতে মনে হাবিলাষ।।…
তে কাজে নিবেদি বাংলা করিয়া রচন।
নিজ পরিশ্রম তোষি আমি সর্বজন।।
আরবী ফারছি শাস্ত্রে নাই কোন রাগ।
দেশী ভাষে বুঝিতে ললাটে পুরে ভাগ।।
আরবী ফারছি হিন্দে নাই দুইমত।
যদি বা লিখয়ে আল্লা নবীর ছিফত।।…
যেই দেশে যেই বাক্যে কহে নরগণ।
সেই বাক্য বুঝে প্রভূ আপে নিরঞ্জন।।
সর্ববাক্য বুঝে প্রভূ কিবা হিন্দুয়ানী।
বঙ্গদেশী বাক্য কিবা যত ইতি বাণী।।…
মারফত ভেদে যার নাহিক গমন।
হিন্দুর অক্ষর হিংসে সে সবের গণ।।
যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।।
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়।
নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়।।
মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।।

মোরা একটি ফুলকে

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।
যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদী জল ফুলে ফুলে মোর স্বপ্ন আঁকা।
যে দেশের নীল অম্বরে মন মেলছে পাখা
সারাটি জনম সে মাটির টানে অস্ত্র ধরি।
মোরা নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি―
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।

যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে
যে শিশুর মায়া হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে
যে গৃহ কপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খোলে
সেই শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি।।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি মুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।

যে ছিল আমার

যে ছিল আমার স্বপনচারিণী
তারে বুঝিতে পারি নি।
দিন চলে গেছে খুঁজিতে খুঁজিতে॥
শুভক্ষণে কাছে ডাকিলে,
লজ্জা আমার ঢাকিলে গো,
তোমারে সহজে পেরেছি বুঝিতে॥
কে মোরে ফিরাবে অনাদরে,
কে মোরে ডাকিবে কাছে,
কাহার প্রেমের বেদনায় আমার মূল্য আছে,
এ নিরন্তর সংশয়ে হায় পারি নে যুঝিতে
আমি তোমারেই শুধু পেরেছি বুঝিতে॥

দিনগুলি মোর

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
কান্নাহাসির বাঁধন তারা সইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি॥
আমার প্রাণের গানের ভাষা
শিখবে তারা ছিল আশা--
উড়ে গেল, সকল কথা কইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি॥
স্বপন দেখি, যেন তারা কার আশে
ফেরে আমার ভাঙা খাঁচার চার পাশে--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।
এত বেদন হয় কি ফাঁকি।
ওরা কি সব ছায়ার পাখি।
আকাশ-পারে কিছুই কি গো বইল না--
সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি॥

শাসক

শাসক যে রঙের-ই হোক ভয়ানক।
তাঁর চোখ সবদিকে থাকে
কে তার সমর্থক, কে তার বিরোধী
তার খবর রাখে।

তার হাতে সন্ত্রাস
তুরুপ, ঠেক্কা তাস
তার হাতে ভাঁড়ারের চাবি।
তার দল জোরদার
দলেরই তো সরকার
বিরোধীর আছে শুধু দাবি।

দাবি নিয়ে এলে কেউ
দল তুলে বড়ো ঢেউ
আইন-রক্ষী করে চুপ।
সংবাদে কতটা
অনুমতি যতটা
নৈপথ্যে শাসকের রূপ।

রূপের বাহারে ঢঙ
লাল নীল রঙ-চঙ
সবুজ বা হলুদ নিশান।
যে রঙেরই সেটা হোক
শাসকের দু’টি চোখ
ছুরিতেই দেবে শুধু শান।

Friday, May 30, 2014

একলা হলে

ক্রমশ একলা হলে কমে এলো সব গুঞ্জন
জারুল গাছের ছায়া রোদ্দুরে হেলেছে এখন,
পড়ে এলো বেলা দ্যাখো পায়রা-র ঘুলঘুলি ছুঁয়ে
বিকেল এখন এই শহরের রাস্তায় শুয়ে,
চায়ের দোকানে ধোঁয়া, সসপ্যানে মাদার ডেয়ারী
পুরনো বাড়ির ছাদে এলোচুল পাতার কেয়ারি,
হেলান দিচ্ছে শেষ বেলা, ভাঙা দেয়ালের গায়ে
ফুটন্ত দুধ-জল মিশছে এখন গূঁড়ো চায়ে।

গলি বেয়ে হাওয়া আসে, হাত-রিকশার মত ঢিমে
তোমার সময় মেশে গোধূলির ধূসর অসীমে,
আকাশে ভাসাও চুল হলুদ রোদ্দুরের খোঁজে
পড়ে আসা বেলা ওই নয়নের আকুলতা বোঝে,
স্কুল থেকে ফিরে ছেলে গ্যাছে ফের খেলতে কোথাও
যৌবন-ও চলে গ্যাছে, কেন মিছিমিছি ফিরে চাও?
ফেরে কি কখনো কেউ ফেলে আসা একই জায়গায়
চলে যায় সব কিছু, ওই দ্যাখো বেলা চলে যায়।

কোথায় জলকে চল, রুপকথা ভুলে যাওয়া যুগ
টেলিফোনে ডাকো সই, বকুল-রা বেড়াতে আসুক,
সন্ধের চায়ে হবে মুচমুচে নিমকি চিবোনো
পুরনো দিনের কথা বলবেনা দেখো একজনও,
বড়জোর উত্তমকুমারের প্রসঙ্গ তুলে
পারমিতা দেবে হাত, নিজের লুটিয়ে পড়া চুলে,
তারপরে আলোচনা, কার ছেলে ফিজিক্সে ভালো
তারই ফাঁকে রেকাবীতে টক-ঝাল চানাচুর ঢালো।

পরিকল্পনা হবে, কারা যাবে ছুটিতে কোথায়
ইচ্ছে নৈনিতাল, সাধ যেতে চাইছে গোয়ায়,
স্বামীর সময় কম, ছেলেমেয়ে যে যার শিবিরে
হারানো সময় আর কোনওদিন আসবে না ফিরে,
সময় নিয়েছে ছুটি, ছুটি নিয়ে গ্যাছে যৌবন
জারুল গাছের গায়ে রোদ্দুর হেলেছে এখন,
ঢেলে দ্যায় সূর্যটা শেষ রঙ আকাশের গায়ে
বন্ধুরা আসবেন, মন দাও বিকেলের চায়ে।

নিখোজ ঈশ্বর অথবা এক বন্ধুর খোজে

হয়তো আমি হারিয়েছি পথ হয়তো আমি একা
প্রতিটি মোরে খুজছি তবু হয়তো হবে দেখা।

হয়তো এখন গরম ভীষণ শার্টটা ভেজা ঘামে
তবু হাতে শুকনো আছে স্বপ্নভরা খামে,
হয়তো আজও মেঘ করেছে হবে না বৃষ্টি তবু....

এসো আমার শহর জুড়ে নেমে এসো প্রাণে
এসো আমার রাস্তা জুড়ে অসহ্যকর জ্যামে,
এসো তুমি ঐ ভিখারীর বাড়িয়ে দেওয়া হাতে
ফুঠপাথে ঘুমিয়ে থাকা টোকাই ছেলের রাতে।

হয়তো তুমি রাগ করো না তবুও তুমি একা
ঠিক করেছো এই আমাকে আর দেবে না দেখা,
হয়তো তুমি চাইছো ভীষণ আমায় ফাঁকি দিতে
আমায় ভীষণ একা করে পথে ঠেলে দিতে,
বেশ করেছ, হাঁটছি নাহয়  কয়েকটা দিন খুজে
তবু তুমি এসো আবার পথিক বন্ধু সেজে।

আজ থেকে

আজ থেকে রাত করে শোবো না,
রোজ রোজ হাত মুখ ধোবো না।
খুলব না চিঠি নীল খামটি,
কপালের ভাঁজে জমে ঘাম টি।
চোখ মেলে দেখব না দুনিয়া,
খাঁচা খুলে ছেড়ে দেব মুনিয়া।
শুনবো না একঘেঁয়ে রেডিও,
ঘুম পেলে মশারিতে সেধিও।
নাকফুল ঝিকমিক, ঘোর লাগা চারদিক,
রাতভর আড়মোড়া ভাঙব।
বৃষ্টির রিমঝিম, মাথাব্যাথা ঝিমঝিম,
দুই গাল লাল রঙে রাঙব।

আজ থেকে ঘুরবো না বাইকে,
তোর কথা বলে দেব মাইকে।
আজ আমি প্রেসিডেন্ট ক্যাস্ট্রো,
ছেড়া তবু পরনের বস্ত্র।
আজ আমি বাড়ি ফিরে যাব না,
অকারণে গাল ছুঁয়ে দেব না।
আজ থেকে নেই কোন কষ্ট,
আজ থেকে আমি পথ ভ্রষ্ট।

মুঠো ভরা গল্প,সুখ তাতে অল্প,
মানিব্যাগে ব্যাথা গুলো রাখব।
জ্বলজ্বলে জ্যোছনা, চোখ দুটো মুছোনা,
চল আজ রোদ গায়ে মাখব।

আজ আমার দিন গেছে থমকে,
সুতো কাটা ঘুড়ি গেল চমকে।
জোনাকির ঝাঁক আজ খুঁজিনি,
তোমারি চোখের ভাষা বুঝিনি।
চাঁদটাকে খুলে রেখে পকেটে,
ঘর বাঁধি দ্রুত গতি রকেটে।
আজ কোন বাঁধা নেই মনেতে,
ছুঁতো খুঁজে হাত দুটো ধরতে।
আধফোটা ফুলটা, শোধরানো ভুলটা,
তোমার স্পর্শ পেয়ে শুদ্ধ।
ফুটপাতে রোদ্দুর, চোখ যায় যতদূর,
ফিরবার পথ তবু রুদ্ধ..

Tuesday, March 11, 2014

The Angry River

The emptiness that we confess
in the dimmest hour of day,
in the common town, they make a sound
like the low sad moan of prey.
The bitter taste, the hidden face
of the lost forgotten child,
the darkest need, the slowest speed
the pattern reconciled.

These photographs mean nothing
to the poison that they take,
before a moments glory
the light begins to fade.

The outward cost, of all we've lost
as we looked the other way,
we've paid the price for this cruel device
till we have nothing left to pay.
the river goes where the current flows
the lightning must destroy,
events conspire to set a fire
with the methods we employ.
these dead men walk on water
a cold blood runs through their veins,
the angry river rises
as we step into the rain.

These photographs mean nothing
to the poison that they take,
the angry river rises
as we step into the rain.

Saturday, February 22, 2014

জীবন সাগর

জীবন সাগরে বাইছি তরী
আমি একাকী ভাঙ্গা হাল ধরতে পারি,
এই অসময়ে কোন বন্ধুর হাত
ধরবে আমার হাত দেব পাড়ি।

সুজন বন্ধু সে কোথায় আছে
কেমন করে যে টানবে কাছে,
ঝড় তুফানে যে ঢেউ এর খেলায়
ভাসবে আমায় নিয়ে এই অবেলায়,
ঝড়ের মাদল এই ঢেউ এর দোলা
দুচোখ ভরে আমি দেখতে পারি,
বন্ধু তুমি থেকো আমার পাশে
হাতে হাত রেখে যেন চলতে পারি।

জীবন দুলছে দুলছি আমি
দুলছি তবুও আমি হাসতে জানি,
এক থেকে হাজারটা বন্ধু পেলে
হাজার কন্ঠে গান গাইতে পারি,
এইতো সময় বন্ধু চেনার
এসো সবাই মিলে জান কবুল করি,
জীবন যতই কেন ভয় দেখাক
সবাই মিললে তা সইতে পারি।

Saturday, February 15, 2014

আমার মতে

কতবার তোর আয়না ভেঙেচুরে ফিরে তাকাই,
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !
কতবার তোর কাঁচা আলোয় ভিজে গান শোনাই,
আমার মতে তোর মতন কেউ নেই !

এই মৃত মহাদেশে রোদ্দুর বারবার ,
হয়তো নদীর কোনো রেশ,
রাখতে পারিনি অবশেষ |
অথবা খেলায় সব হাতগুলো হারবার
পরেও খেলেছি এক দান , বুঝিনি কিসের এত টান !

কখনো চটি জামা ছেড়ে রেখে রাস্তায় এসে দাঁড়া !

তোর বাড়ির পথে যুক্তির সৈন্য,
যতটা লুকিয়ে কবিতায় , তারও বেশি ধরা পড়ে যায় |

তোর উঠোন জুড়ে বিশাল অঙ্ক ,
কষতে বারণ ছিল তাই, কিছুই বোঝা গেলনা প্রায় !

এক একটা দিন

এক একটা দিন বড় একা লাগে ।।
ঘুম চোখ খুলে দেখি-ভোর নেই আর ,
ভালো করে সকালটা, পাওয়া হয় না।
এক একটা দিন বড় একা লাগে!

এক একটা দিন বড় একা লাগে!
আঙ্গুলের ফাঁকে ধরা খোলা কলম,
গান বা তোমাকে চিঠি লেখা হয় না
এক একটা দিন বড় একা লাগে!

এক একটা দিন বড় একা লাগে!
এক একটা দিন বড় একা লাগে!
বিকেলে তোমার সাথে একলা ঘরে
কি কথা বলবো আমি ভেবে পাই না!

এক একটা রাত বড় একা লাগে।।
পাশ ফিরে শুলে খাট কঁকিয়ে উঠে
কান পেতে থাকি হাওয়া জেগে উঠে না
কান পেতে থাকি কেউ জেগে উঠে না…

তোমার জন্য

তোমার জন্য মেঘলা দুপুর,
অসময়ে বর্ষণ
তোমার জন্য ক্ষনে দেখা আলো
বিকেলের আয়োজন

তোমার জন্য সুর খুঁজে পায়
আমার একলা গান
এ মরুভূমিতে তোমার জন্য
আমার পুষ্পস্নান

ডেকে যাই তোমাকে,
শুধু বার বার ডেকে যাই..
বিধুর আকাশে সন্ধ্যা তারাটি
তোমাকে ভেবে সাজাই ।।

তোমার জন্য মিছিলে মিছিলে
স্লোগানের উঠা পড়া
তোমার জন্য ভোরের আকাশ
শিউলি গন্ধে ভরা ।।

তোমাকে ভেবে এ জীবনে লাগে
ঝড়ের ভীষণ টান
এ মরুভূমিতে তোমার জন্য
আমার পুষ্পস্নান

ডেকে যাই তোমাকে,
শুধু বার বার ডেকে যাই
শারদ আলোতে আগমনী গানে
তোমাকেই খুঁজে পাই ।।

তোমার জন্য তুচ্ছ করেছি
অপমান অভিমান
তোমার জন্য বেপরোয়া বুকে
ভালবাসা পাই প্রান ।।
তোমার জন্য ভরা বাহে ধান
নবান্নে অঘ্রাণ
এ মরুভূমিতে তোমার জন্য
আমার পুষ্পস্নান

ডেকে যাই তোমাকে,
শুধু বার বার ডেকে যাই
বার বার এসে হে জন্মভূমি
তোমাকে যেন পাই ।।

বার বার এসে হে জন্মভূমি
তোমাকে যেন পাই

ভাবতেই পারো

ভাবতেই পারো ক্লান্ত কোন দুপুরে
ধুলো মেখে মেখে বেজে ওঠা নূপুরে
সুর মেলে ডানা আকাশের উপরে

যাও যদি সুদূরপানে
চেনা কোন অন্যখানে
ভালবাসার মেঘে ঘেরা
আসবে যে আমার মনে

আজ তোমার মেঘে মেঘে রংধনু
আজ তোমার মেঘে মেঘে রং
আজ তুমি মেঘে মেঘে যেমন ইচ্ছে তেমন
ভালবাসা নিয়ে আসি আজ আমি
মেঘে মেঘে সারাক্ষণ

ভাবতেই পারো আলোর শেষে
সন্ধ্যা কেন মুচকি হেসে
সুদূরে যায় নিয়ে চলে
তোমার কথা আমায় বলে

ভাবতেই পারো আমরা দূরে
যেমন আছি বহুকাল ধরে
তবুও আজ মেঘের দেশে
শুধুই আমায় মনে পড়ে 

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে।
সতত হায় ভাবনা শত শত,   নিয়ত ভীত পীড়িত--
শির নত কত অপমানে ॥
জানো না রে অধ-ঊর্ধ্বে বাহির-অন্তরে
ঘেরি তোরে নিত্য বাজে সেই অভয়-আশ্রয়।
তোলো আনত শির, ত্যজো রে ভয়ভার,
সতত সরলচিতে চাহো তাঁরি প্রেমমুখপানে ॥

মনে পড়ে সেই

মনে পড়ে সেই সুপুরি গাছের সারি
তারপাশে মৃদু জ্যোত্‌স্না-মাখানো গ্রাম,
মাটির দেয়ালে গাঁথা আমাদের বাড়ি
ছোট ছোট সুখে সিদ্ধ মনোস্কাম।

পড়শি নদীটি ধনুকের মত বাঁকা
উরু-ডোবা জলে সারাদিন খুনসুটি,
বাঁশের সাঁকোটি শিশু শিল্পীর আঁকা
হেলানো বটের গায়ে দোল খায় ছুটি

এপারে-ওপারে ঢিল ছুঁড়ে ডাকাডাকি
ও দিকের গ্রামে রোদ্দুর কিছু বেশি,
ছায়া ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যায় কটি পাখি
ভরা নৌকায় গান গায় ভিনদেশী।

আমার বন্ধু আজানের সুরে জাগে
আমার দুচোখে তখনো স্বপ্নলতা,
ভোরের কুসুম ওপারে ফুটেছে আগে
এপারে শিশিরপতনের নীরবতা।

আমার বন্ধু বহু ঝগড়ার সাথি
কথায় কথায় এই ভাব এই আড়ি,
মার কাছে গিয়ে পাশাপাশি হাত পাতি
গাব গাছে উঠে সে হাতেই কাড়াকাড়ি।

আমার বন্ধু দুনিয়াদারির রাজা
মিথ্যে কথায়  জগৎ  সভায় সেরা,
দোষ না করেও পিঠ পেতে নেয় সাজা
আমি দেখি তার সহাস্য মুখে ফেরা।

বন্ধু হারালে দুনিয়াটা খাঁ খাঁ করে
ভেঙে যায় গ্রাম, নদীও শুকনো ধূ ধূ,
খেলার বয়েস পেরোলেও একা ঘরে
বারবার দেখি বন্ধুরই মুখ শুধু।

সাঁকোটির কথা মনে আছে, আনোয়ার ?
এত কিছু গেল, সাঁকোটি এখনো আছে,
এপার ওপার স্মৃতিময় একাকার
সাঁকোটি দুলছে এই আমি-তোর কাছে।

না মানুষি বনে

সখি বল আমারে বল
কে পরাইলো আমার চোখে কলঙ্ক কাজল,
আমি যার কাছে যাই সে আমারে কতো মন্দ বলে
আমার ইচ্ছা করে ডুইবা মরি নিজের চোখের জলে।

আমি ঘর ছাড়িলাম বনে গেলাম, বনে মানুষ নাই
না মানুষি বনে যদি তোমার দেখা পাই,
জংলা গাছে হাজার পাখি বন্ধু তুমি নাই
বন্ধু তুমি নাই নাই নাই কাছে নাই,
বনের গাছ- সেও আমারে আজ মন্দ বলে
আমার ইচ্ছা করে ডুইবা মরি নিজের চোখের জলে।

আমি বন ছাড়িলাম মাঠে গেলাম, মাঠে মানুষ নাই
না মানুষি মাঠে যদি তোমার দেখা পাই,
খোলা মাঠের ঘূর্ণি হাওয়া ফিসফিসাইয়া কয়
"কলঙ্কিনী মেয়ে, পাশে কেউ থাকিবার নয়",
সইন্ধ্যাকালে বিরানমাঠে চিনের আগুন জ্বলে
আমার ইচ্ছা করে ডুইবা মরি নিজের চোখের জলে।

বন্ধু বল আমারে বল
আমার চক্ষে কেন্ মাখাইলি কলঙ্ক কাজল।

বোকা মেয়ে

তোর বুঝি ভেঙে গেছে মাথা নাড়া বুড়ো
ভেঙে গেছে পুতুল খেলার সংসার,
সময়ে দেখবি সব জোড়া লেগে যাবে
চুপ কর বোকা মেয়ে কাঁদিস না আর।

সময় দেখবি সব ভুলায় ভুলিয়ে
আনকোরা রংগুলো বুলিয়ে বুলিয়ে,
মিলায় কাঁটার দাগ জোড়া লাগে ফাটা
জটিলতা হয়ে যায় খুব সাদামাটা।

তোর বুঝি উড়ে গেছে খাঁচা খোলা পাখি
উড়ে গেছে আকাশের হৃদয় অপার,
সময়ে দেখবি তুই নিজেই পালাবি
চুপ কর বোকা মেয়ে কাঁদিস নে আর।

সময় দেখবি সব খাঁচা খুলে দেয়
তারগুলো কেটে দেয় অদৃশ্য ছুরি,
ভাবনার পাখিগুলো বয়েসের ডালে
বসে আর উড়ে যায় খেলে লুকোচুরি।

থমকে আছে

থমকে আছে চোখের নিচে
অনেকখানি চোখের জল।
চোখের ওপর রঙ্গ বন্ধু-
হালকা হাসির গল্প বল্‌।

তোর চোখে চোখ রাখলে যেন
জলের ওপর সূর্যোদয়!
তুই না বুঝিস, বয়েই গেলো-
আমার চোখেই সকাল হয়।

সকালটাকে ভিজিয়ে দিল
শিশির হয়ে চোখের জল।
শিশিরে রঙ ঠিঁকরে পড়ে,
বন্ধু আলোর গল্প বল।

অনেক রকম মানুষ দেখি,
অনেক রকম তাদের চোখ।
অন্ধকারে চাইছি আমি-
সবার চোখেই সকাল হোক।

সকালটাকে আগলে রেখে
বিকেলটাকে ডাকবো চল।
সন্ধ্যে হ’লেই বলবো বন্ধু-
চোখের জলের গল্প বল!

ডাক আসে

ডাক আসে,
তোমার না লেখা চিঠি
আসেনি, আসেনা, আসবেনা
জানি তবু আমি বসে থাকি,
বেলা বাড়ে,
রোদে কাপড় মেলি
জল নামে যদি তুলি,
ঘরে তুলে আনি আর
তুলি মেলি ভাজ করি...

দিন যায়, দিন যায়,
দুপুরের অবসরে খবর কাগজে দেখি,
এখানে ওখানে কত যুদ্ধ চলেছে
চলে সারবাঁধা ট্যাংক গাড়ি,
রিফিউজি লাইন চলে সাদা দেশদূত
আর যুদ্ধবিরোধী ক্ষ্যাপা...

রাত নামে, রাত নামে
রাতের গভীরে আমি
ঘুমের ভিতরে আমি
ভিতর বাহির করি
জামা তুলি মেলি,
আর মানুষ মিছিলে হাঁটি
রাতের অন্ধকারে
কাঁটাতার ঘিরে ঘিরে ধরে...

গান এসো গান এসো, গান এসো গান এসো,
গান এসো গান এসো,
একলা আঁধার ঘরে এসো তুমি প্রেম হয়ে
প্রেম যদি না হও
স্বপ্ন দেখাও তুমি
স্বপ্ন না দিতে পার
দুধ পোড়া ঘ্রাণ হয়ো
রোদে পোড়া জামা আহা
পোড়া দেহ দেশ হয়ো...

গুলি লাগে গানের শরীরে...

একটুর জন্য

একটুর জন্য কতকিছু হয়নি,
ক্ষয়ে যাওয়া আশা তবু, পুরোটা ফুরায়নি।
একটুর জন্য, পাশ নম্বর নেই,
ফেল করা আশা তবু, ফাঁকতালে থাকবেই।

একটুর জন্য, চাকরিটা হল না,
আধমরা আশা তবু, পুরোপুরি মলো না।
একটুর জন্য, প্রেম দিল চম্পট,
তবুও হৃদয় করে আশা নিয়ে ছটফট।

একটুর জন্য, কাঁচকলা জুটল,
থমথমে মুখে তবু, হাসিটাও ফুটল।
একটুর জন্য, হাসি টাকে রাখছি,
দুরাশায় হোক তবু, আশাতেই থাকছি।

Thursday, February 6, 2014

নিভন্ত এই চুল্লি

নিভন্ত এই চুল্লিতে মা একটু আগুন দে,
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি, বাঁচার আনন্দে।
নোটন নোটন পায়রাগুলি খাঁচাতে বন্দী,
দু’এক মুঠো ভাত পেলে তা ওড়াতে মন দি।
হায় তোকে ভাত দিই  কী করে যে ভাত দিই হায়
হায় তোকে ভাত দেব কী দিয়ে যে ভাত দেব হায়।
নিভন্ত এই চুল্লী তবে একটু আগুন দে,
হাড়ের শিরায় শিখার মাতন মরার আনন্দে।
দুপারে দুই রুই কাতলার মারণী ফন্দী,
বাঁচার আশায় হাত-হাতিয়ার, মৃত্যুতে মন দি।
বর্গী না টর্গী না, যমকে কে সামলায় !
ধার-চকচকে থাবা ঐ দেখছ না হামলায় ?
আরে যাস্ নে ও হামলায়, যাস্ নে॥
কান্না কন্যার মায়ের ধমনীতে আকুল ঢেউ তোলে, জ্বলে না,
মায়ের কান্নায় মেয়ের রক্তের উষ্ণ হাহাকার মরে না,
চলল মেয়ে রণে চলল।
বাজে না ডম্বরু, অস্ত্র ঝন্ ঝন্ করে না, জানল না কেউ
চলল মেয়ে রণে চলল।
পেশীর দৃঢ় ব্যাথা, মুঠোর দৃঢ় কথা, চোখের দৃঢ় জ্বালা সঙ্গে নিয়ে,
চলল মেয়ে রণে চলল।
নেকড়ে-ওজর মৃত্যু এল, মৃত্যুরই গান গা,
মায়ের চোখে বাপের চোখে, দু-তিনটে গঙ্গা।
দূর্বাতে তার রক্ত লেগে, সহস্র সঙ্গী,
জাগে ধক্ ধক্, যজ্ঞে ঢালে, সহস্র মণ ঘি।
যমুনাবতী সরস্বতী, কাল যমুনার বিয়ে,
যমুনা তার বাসর রচে বারুদ বুকে দিয়ে, বিষের টোপর নিয়ে।
যমুনাবতী সরস্বতী গেছে এ পথ দিয়ে,  দিয়েছে পথ, গিয়ে।
নিভন্ত এই চুল্লীতে বোন আগুন ফলেছে।

Friday, January 31, 2014

তারা ঢাকা মেঘ

তারা ঢাকা মেঘ, মেঘে ঢাকা তারা,
পাশের বাড়িতে উঠিল তারা,
ঠেলা গাড়ি ভরা মাল-পত্তর,
কত অ্যাডভান্স? মাসে কত ভাড়া?
একতলা বাড়ি, কলোনীর পাড়া,
বাবা ভোর বেলা ডিউটিতে গেলে,
 বাড়িতে মায়ের কোমল পাহারা।

একজন বাঁধে লম্বা বিনুনি,
অন্যটি তার চুল খুলে সারা,
সকালে যখন কলেজে বেরোয়ে,
চনমন করে রোদ-রাস্তারা,
বুকে বই ধরা, মাটিতেই চোখ,
ঠিক পাশে এসে ঝলকে তাকানো,
হাতের মুঠোয় ছোট্ট রুমাল,
কখনো বা মুঠো হাসি আটকান,
কাকে দেখে হাসি কার প্রতি  যায়?
কার মুখোমুখি কে চোখ নামায়?
এভাবে আমাকে, ওভাবে আমায়,
চুপচাপ চিঠি ছিড়ে ফেলা সারা।

মুখ দেখা আজ বন্ধ করেছে,
প্রানের বন্ধু কাল ছিল যারা,
দল বেধেঁ আর বসছে না কেউ,
একা পথ চায় যতেক বেচারা।

শেষে একদিন কাউকে না বলে,
পাড়া ছেড়ে দিয়ে উঠে গেছে তারা,
টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে,
আকাশে তখন বিকেল কি সারা,
চুপচাপ বসে রবে রাস্তারা,
দেখে একে একে সবাই ফিরছে,
ছিল আড্ডার সদস্য যারা,
কেউ নিশ্চুপে আগুন টা চায়,
কেউ অযথায় কথা খুঁজে পায়।

কত অ্যাডভান্স ? বাড়াচ্ছে ভাড়া?
টিপটিপ করা বৃষ্টি থামছে,
ছোট ছোট বাড়ি একতলা পাড়া,
সন্ধ্যের মুখে একলা দেখছে,
ডুবছে উঠছে, আকাশে কেমন,
 তারা ঢাকা মেঘ, মেঘে ঢাকা তারা।

Wednesday, January 29, 2014

যাত্রী

আমি এক ভাঙ্গা বাড়ির ভাঙ্গা ঘরের ভাঙ্গা বারান্দা
আমি পথের মাঝে খুজে পাওয়া টাকা আধখানা,
আমি বিদ্যাসাগর, মাইকেলেরই মস্ত বড় ভুল
আমি কিশোরীর ওই হারিয়ে যাওয়া মুক্তো গাঁথা দুল।

দেখ বাবু নামের বড় খোকা করতে পারে ভুল
দেখ চেনে না কেউ মাঝ বৈশাখ চেনে মার্চ জুন,
দেখ ছারিদিকে কত মানুষ কত ব্যস্ততা
খুলেছে কেউ নতুন হিসেব আজকে হালখাতা।

যদি পথের রাজা পাজেরো দেখে ঈর্ষা হয়
তবে জেনে রেখো দু চাকার ওই হিরো কম যে নয়,
যদি সুন্দরী আজ তোমায় দেখে মুচকি হাসি দেয়
তবে মেনে নিও ছলনা তা প্রেমের বাঁশি নয়।

যারা মনের মাঝে লুকিয়ে রাখে গাঢ় অন্ধকার
যারা ভুলের পরে ভুল খুঁজে এই তোমার আমার,
যারা কোনদিনও জানে না যে ছলচাতুরি কি?
বল তাদের কি তুমি আমি বন্ধু বলেছি?

আমি এই কালো পিছ এর সোজা পথের পুরানো পথিক
তাই বলছি না আমার এই কথা গুলো ঠিক,
আমি দেখি যা, শুনি যা, বলিও যে তা
আমার বন্ধু রবে কড়া রোদ উতলা হাওয়া।

Saturday, January 25, 2014

I'd Rather be a Cowboy

Jessie went away last summer, a couple of months ago.
After all our time together, it was hard to see her go.
She called me right up when she arrived, asked me one more time to come,
but living on an LA freeway ain't my kind of having fun.
I think I'd rather be a cowboy, I think I'd rather ride the range.
I think I'd rather be a cowboy than to lay me down in love and lady's chains.

When we were just beginning, it was such an easy way.
Laying back up in the mountains making love for sunny days.
She got tired of picking daisies and cooking my meals for me,
she can live the life she wants to, yes, it's all right with me.
I think I'd rather be a cowboy, I think I'd rather ride the range.
I think I'd rather be a cowboy than to lay me down in love and lady's chains.

I'd rather live on the side of a mountain than wander through canyons of concrete and steel.
I'd rather laugh in the rain and sunshine and lay down my sundown in some starry field.

Oh, but I miss her in the morning when I awake alone.
The absence of her laughter is a cold and empty sound.
But her memory always makes me smile and I want you to know,
I love her, yes I love her just enough to let her go.
I think I'd rather be a cowboy, I think I'd rather ride the range.
I think I'd rather be a cowboy than to lay me down in love and lady's chains.
I think I'd rather be a cowboy, I think I'd rather ride the range.
I think I'd rather be a cowboy than to lay me down in love and lady's chains.

আগুন দেখেছি আমি

আগুন দেখেছি আমি কত জানলায়
কত জানলায় তার মুখের আদল
কত জানলায় ঝরে অকাল বাদল।

কত জানলার কাছে কত চেনা নাম
কত দেখা হাসিমুখ ভাসে অবিরাম
কত জানলার কাছে একলা মানুষ
একলা পৃথিবী তার যেন মহাকাল
কত জানলায় আসে একার সকাল।

কত জানলার কাছে রাখা পোস্টার
কত কথা কত ক্ষিদে কত চিৎকার
কত জানলার কাছে কাতারে কাতার
মানুষ জমেছে, দাবি গরাদ ভাঙার
ভাঙে যেন জানলার গরাদ সবার।

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে

চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো,
ও রজনীগন্ধা, তোমার গন্ধসুধা ঢালো ।
পাগল হাওয়া বুঝতে নারে, ডাক পড়েছে কোথায় তারে,
ফুলের বনে যার পাশে যায় তারেই লাগে ভালো ।
নীল গগনের ললাটখানি চন্দনে আজ মাখা,
বাণীবনের হংসমিথুন মেলেছে আজ পাখা।
পারিজাতের কেশর নিয়ে, ধরায়, শশী, ছড়াও কী এ,
ইন্দ্রপুরীর কোন্‌ রমণী বাসরপ্রদীপ জ্বালো।

ধন্য ধন্য বলি তারে

ধন্য ধন্য বলি তারে
বেঁধেছে এমন ঘর
শূন্যের উপর ফটকা করে।।
সবে মাত্র একটি খুঁটি
খুঁটির গোড়ায় নাইকো মাটি,
কিসে ঘর রবে খাঁটি
ঝড়ি-তুফান এলে পরে।।
মূলাধার কুঠরি নয় টা
তার উপরে চিলে-কোঠা
তাহে এক পাগলা বেটা
বসে একা একেশ্বরে।।
উপর নীচে সারি সারি
সাড়ে নয় দরজা তারি
লালন কয় যেতে পারি
কোন্‌ দরজা খুলে ঘরে।।

ভালো আছি ভালো থেকো

ভালো আছি, ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো
দিও তোমার মালা খানি, বাউলের এই মনটারে,
আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ,
তেমনি তোমার নিবিড় চলা ভিতরের এই বন্দরে ।

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম পাপড়ীর আবডালে ফসলের ধুম,
তেমনি তোমার নিবিড় ছোয়া গভীরের এই বন্দরে।

হঠাৎ রাস্তায়

হঠাৎ রাস্তায় অফিস অঞ্চলে
হারিয়ে যাওয়া মুখ চমকে দিয়ে বলে,
বন্ধু কি খবর বল, কত দিন দেখ হয়নি।

পুরনো দোকানে বিগত আড্ডা
বিগত ঝগড়া বিগত ঠাট্টা,
বন্ধু কি খবর বল, কত দিন দেখ হয়নি।

দলাদলির দিন গলাগলির দিন
হঠাৎ অকারনে হেসে ওঠার দিন,
বন্ধু কি খবর বল, কত দিন দেখ হয়নি।

হারানো লেত্তি হারানো লাট্টু
সময় চলে যায় বেয়ারা টাট্টু,
বন্ধু কি খবর বল, কত দিন দেখ হয়নি।

সময় চলে গেছে এবং চলছে
চলতি জীবনের গল্প বলছে
পাল্টে গেলি তুই আমিও পাল্টে
গিয়েছি মাঝ পথে হাঁটতে হাঁটতে
বন্ধু কি খবর বল, কত দিন দেখ হয়নি।

তীর ভাঙ্গা ঢেউ

তীর ভাঙ্গা ঢেউ আর নীড় ভাঙ্গা ঝড়
তারই মাঝে প্রেম যেন গড়ে খেলাঘর।

চাঁদ আসে তাই যেন উল্লাসে ঐ
রঙের মাধুরী লয়ে পুব হাসে ঐ।

নিকটের পানে চাহি দূর কাঁদে গো,
অদেখার বাঁশরী যে সুর সাধে গো।

সব শেষে পল্লবে জাগে মর্মর
তারই মাঝে প্রেম তবু গড়ে খেলাঘর।

তৃষ্ণারে কাছে ডাকে মরু মায়া গো
ক্লান্তিরে মুছে দেয় তরুছায়া গো।

চিরদিনই রয় ব্যাথা বন্ধনে হায়
হাসি যেন মিশে আছে ক্রন্দনে হায়।

সৌরভ গৌরবে ধুপ জ্বলে ঐ,
আলো আর আধারের খেলা চলে ঐ।

অন্তরে দূ দূ করে শুধু বালু চর
তারই মাঝে প্রেম যেন গড়ে খেলাঘর।

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে

পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে, পাগল আমার মন জেগে ওঠে॥
চেনাশোনার কোন্‌ বাইরে, যেখানে পথ নাই নাই রে,
সেখানে অকারণে যায় ছুটে॥
ঘরের মুখে আর কি রে, কোনো দিন সে যাবে ফিরে।
যাবে না, যাবে না, দেয়াল যত সব গেল টুটে॥
বৃষ্টি-নেশা-ভরা সন্ধ্যাবেলা, কোন্‌ বলরামের আমি চেলা,
আমার স্বপ্ন ঘিরে নাচে মাতাল জুটে, যত মাতাল জুটে।
যা না চাইবার তাই আজি চাই গো,
যা না পাইবার তাই কোথা পাই গো।
পাব না, পাব না, মরি অসম্ভবের পায়ে মাথা কুটে॥

মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়

বেণীমাধব, বেণীমাধব, তোমার বাড়ি যাব
বেণীমাধব তুমি কি আর আমার কথা ভাব ?
বেণীমাধব মোহন বাঁশি তমাল তরু মূলে
বাজিয়েছিলে, আমি তখন মালতী স্কুলে।
ডেস্কে বসে অঙ্ক করি, ছোট্ট ক্লাস ঘর
বাইরে দিদিমণির পাশে দিদিমণির বর।
আমি তখন নবম শ্রেণি, আমি তখন শাড়ি,
আলাপ হলো, বেণীমাধব, সুলেখাদের বাড়ি।

বেণীমাধব, বেণীমাধব, লেখাপড়ায় ভাল
শহর থেকে বেড়াতে এলে, আমার রঙ কালো।
তোমায় দেখে একদৌড়ে পালিয়ে গেছি ঘরে
বেণীমাধব, আমার বাবা দোকানে কাজ করে।
কুঞ্জে অলি গুঞ্জে তবু ফুটেছে মঞ্জরী
সন্ধ্যা বেলা পড়তে বসে অঙ্কে ভুল করি।
আমি তখন নবম শ্রেণি, আমি তখন ষোলো
ব্রিজের ধারে, বেণীমাধব, লুকিয়ে দেখা হলো।

বেণীমাধব, বেণীমাধব, এতদিনের পরে
সত্যি বল সেসব কথা এখনও মনে পড়ে?
সেসব কথা বলেছ তুমি তোমার প্রেমিকাকে?
আমি কেবল একটিদিন তোমার পাশে তাকে,
দেখেছিলাম আলোর নীচে, অপূর্ব সে আলো।
স্বীকার করি দুজনকেই মানিয়েছিল ভালো।
জুড়িয়ে দিল চোখ আমার, পুড়িয়ে দিল চোখ
বাড়িতে এসে বলেছিলাম – ওদের ভালো হোক।

রাতে এখন ঘুমোতে যাই – একতলার ঘরে
মেঝের ’পরে বিছানা পাতা, জোৎস্না এসে পড়ে।
আমার পরে যে বোন ছিল, চোরাপথের বাঁকে
হারিয়ে গেছে, জানি না আজ কার সঙ্গে থাকে।
আজ জুটেছে?– কাল কি হবে? কালের ঘরে শনি
আমি এখন এই পাড়ায় সেলাই দিদিমণি।

তবু, আগুন - বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
কেমন হবে আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই?

Tuesday, January 14, 2014

A Waltz for a Night

Let me sing you a waltz
Out of nowhere, out of my thoughts
Let me sing you a waltz
About this one night stand

You were for me that night
Everything I always dreamt of in life
But now you're gone
You are far gone
All the way to your island of rain

It was for you just a one night thing
But you were much more to me
Just so you know

I hear rumors about you
About all the bad things you do
But when we were together alone
You didn't seem like a player at all

I don't care what they say
I know what you meant for me that day
I just wanted another try
I just wanted another night
Even if it doesn't seem quite right
You meant for me much more
Than anyone I've met before

One single night with you little Jesse
Is worth a thousand with anybody

I have no bitterness, my sweet
I'll never forget this one night thing
Even tomorrow, another arms
My heart will stay yours until I die

Let me sing you a waltz
Out of nowhere, out of my blues
Let me sing you a waltz
About this lovely one night stand 

উল্টো রাজার দেশে

কোন এক উল্টো রাজা, উল্টো বুঝলি প্রজার দেশে
চলে সব উল্টো পথে, উল্টো রথে, উল্টো বেশে,
সোজা পথ পোড়ে পায়ে, সোজা পথে কেউ চলেনা
বাঁকা পথ জ্যাম হরদম, জমজমাট ভিড় কমেনা।

সে দেশে করে পাস এম এ, বি এ, কেরানির জীবন যাপন
রাজনীতি করলেরে ভাই, ডিগ্রীর কি প্রয়োজন ?
জনগণ তুলে দেবে তোমার হাতে দেশের শাসন

সে দেশে, অর্থের কারচুপিতে সিদ্ধ যিনি -অর্থমন্ত্রী
দেশের শত্রু মাঝে প্রধান যিনি –প্রধানমন্ত্রী,
সে দেশে ধার করে ভাই শোধে রাজা ধারের টাকা
মরে ভূত হল মানুষ, লোক দেখানো বৈদ্দি ডাকা।

সে দেশে, অবহেলায় যখন ফোকলা সংস্কৃতির মাড়ি
বিদেশি চ্যানেল তখন পৌঁছে যে যায় বাড়ি বাড়ি,
আনন্দ, কি আনন্দ এসে গেছে কোকাকোলা
গেছে সব দেনার দায়ে বাকি আছে কাপড় খোলা,
পায় না খেতে যারা গাইত খেয়াল, টপ্পা ঝানু
গেয়ে গান হচ্ছে ধনী রাম, শ্যাম আর কুমার পানু
কোন এক উল্টো রাজা, উল্টো বুঝলি প্রজার দেশে
চলে সব উল্টো পথে, উল্টো রথে, উল্টো বেশে।

পারেনা ধরতে পুলিশ সত্যি অপরাধী, যারা বাড়ছে সুখে
নিরীহ প্রেমিক-প্রেমিকাদের ধরে, নিচ্ছে টাকা লেকের ধারে,পুজোর মুখে,
এদিকে ধর্ম ধর্ম ধর্ম নিয়ে চলছে বামাল
ধর্মকে তোয়াজ করে সব শালারাই সাদা বা লাল,
রাজা দেয় প্রতিশ্রুতি হ্যান কারেগা, ত্যান কারেগা
করেগা কচু, আসলে ব্যাটা পকেট ভারেগা।

এতো এক উল্টো দেশের গল্প শুনলে এতক্ষণ
যদি কেউ এমন দেশের সন্ধান পাও তখন,
জানিয়ে দিও আমায় বলব সেই দেশের কথা
ঠিকানা আমার, কেয়ার অব ফুটপথ নচিকেতা।

প্রথম মা

একই জল একই পানি সাগরে সাগরে নাচে
প্রথম মায়ের প্রসব বেদনা পৃথিবীর মনে আছে,
কেউ সাদা কেউ কালো
রঙ্গিন বলেই ভাল,
রঙ মশালটা একলা জ্বেলো না
আমার বুকেও জ্বালো।

একই আকাশের নিচে একই পৃথিবীর বুকে
প্রথম মায়ের দুধের গন্ধ সব মানুষের মুখে…
কেউ সাদা কেউ কালো
রঙ্গিন বলেই ভাল,
রঙ মশালটা একলা জ্বেলো না
আমার বুকেও জ্বালো।

একই দিন একই রাত সব দেশে আসে যায়
প্রথম মায়ের চুম্বন ঐ পৃথিবী বাঁচতে চায়,
কেউ সাদা কেউ কালো
রঙ্গিন বলেই ভাল,
রঙ মশালটা একলা জ্বেলো না
আমার বুকেও জ্বালো।।

একই জন্ম-মৃত্যু জীবনের আনাগোনা
প্রথম মায়ের শরীরের মত পৃথিবীর গান শুনা।
শুনতে শুনতে বলি আমায় সঙ্গে নাও,
প্রথম মায়ের গর্ভে আমায় আবার জন্ম দাও।

উতল-ধারা বাদল ঝরে

উতল-ধারা বাদল ঝরে, সকল বেলা একা ঘরে॥
সজল হাওয়া বহে বেগে, পাগল নদী ওঠে জেগে,
আকাশ ঘেরে কাজল মেঘে, তমালবনে আঁধার করে॥
ওগো বঁধু দিনের শেষে, এলে তুমি কেমন বেশে,
আঁচল দিয়ে শুকাব জল, মুছাব পা আকুল কেশে।
নিবিড় হবে তিমির-রাতি, জ্বেলে দেব প্রেমের বাতি,
পরানখানি দেব পাতি, চরণ রেখো তাহার 'পরে॥
ভুলে গিয়ে জীবন মরণ, লব তোমায় ক'রে বরণ,
করিব জয় শরম-ত্রাসে,   দাঁড়াব আজ তোমার পাশে,
বাঁধন বাধা যাবে জ্ব'লে, সুখ দুঃখ দেব দ'লে,
ঝড়ের রাতে তোমার সাথে, বাহির হব অভয়ভরে॥
উতল-ধারা বাদল ঝরে, দুয়ার খুলে এলে ঘরে।
চোখে আমার ঝলক লাগে, সকল মনে পুলক জাগে,
চাহিতে চাই মুখের বাগে, নয়ন মেলে কাঁপি ডরে॥

এমন দিনে তারে বলা যায়

এমন দিনে তারে বলা যায়,
এমন ঘনঘোর বরিষায়।
এমন দিনে মন খোলা যায়,
এমন মেঘস্বরে বাদল-ঝরোঝরে
তপনহীন ঘন তমসায়॥

সে কথা শুনিবে না কেহ আর,
নিভৃত নির্জন চারি ধার।
দুজনে মুখোমুখি গভীর দুখে দুখি,
আকাশে জল ঝরে অনিবার,
জগতে কেহ যেন নাহি আর॥

সমাজ সংসার মিছে সব,
মিছে এ জীবনের কলরব।
কেবল আঁখি দিয়ে, আঁখির সুধা পিয়ে
হৃদয় দিয়ে হৃদি অনুভব,
আঁধারে মিশে গেছে আর সব॥

তাহাতে এ জগতে ক্ষতি কার
নামাতে পারি যদি মনোভার।
শ্রাবণবরিষনে, একদা গৃহকোণে
দু কথা বলি যদি কাছে তার,
তাহাতে আসে যাবে কিবা কার॥

ব্যাকুল বেগে আজি বহে যায়,
বিজুলি থেকে থেকে চমকায়।
যে কথা এ জীবনে রহিয়া গেল মনে
সে কথা আজি যেন বলা যায়,
এমন ঘনঘোর বরিষায়॥

Hazard

My mother came to Hazard when I was just seven
Even then the folks in town said with prejudiced eyes
That boy's not right ...
Three years ago when I came to know Mary
First time that someone looked beyond the rumours and the lies
And saw the man inside ...
We used to walk down by the river
She loved to watch the sun go down
We used to walk along the river
And dream our way out of this town ...
No one understood what I felt for Mary
No one cared until the night she went out walking alone
And never came home ...
Man with a badge came knocking next morning
Here was I surrounded by a thousand fingers suddenly
Pointed right at me ...
I swear I left her by the river
I swear I left her safe and sound
I need to make it to the river
And leave this old Nebraska town
I think about my life gone by
And how it's done me wrong
There's no escape for me this time
All of my rescues are gone, long gone
I swear I left her by the river
I swear I left her safe and sound
I need to make it to the river
And leave this old Nebraska town ...