Thursday, July 10, 2014

সেই ফুলের দল

রাবেয়া কি রুখসানা, ঠিক তো মনে পড়েনা
অস্থির এ ভাবনা, শুধু করে আনাগোনা,
ফেলে আসা দিন তার মিছে মনে হয়, নামে কিবা আসে যায়।
সোহাগে আদরে জানি রেখেছিল কেউ এই নাম...

আব্বা না আপা নাকি, কারো মনে পড়ে তা-কি,
তোমরা তা জান নাকি, সময় দিয়েছে ফাঁকি,
অভিমানে সে মেয়েটি গেছে হারিয়ে, বুকে ভরসা নিয়ে।
সীমান্ত পেরিয়ে সে এসেছিল ছেড়ে তার গ্রাম...

জানি সে কোথায়, এই শহরের কোন বাগানে সে হয়ে আছে ফুল,
প্রতি সন্ধ্যায়, পাঁপড়ি মেলে দিয়ে সে আবার ভোরে ঝরা বকুল...

এই মেয়েটির মত, আরেকটি মেয়ে সে-ত
সন্ধ্যাপ্রদীপ দিত, যত্নে গান শোনাত,
হালকা পায়ে বেড়াত, বেণী দুলিয়ে, কে যে নিল ভুলিয়ে।
খেলার সাথীরা তার খুঁজতে আসেনা আর রোজ...

লক্ষী নামের মেয়ে, আজও তার পথ চেয়ে
ফেলে আসা তার গাঁয়ে, মা কাঁদে মুখ লুকিয়ে,
সন্ধ্যেবেলায় শাঁখ বাজেনাতো আর, এতে আছে কী বলার।
আজও কেউ জানেনা তো কোথায় সে হয়েছে নিখোঁজ...

লক্ষী রুখসানারা, আরও যত ঘরছাড়া
ত্রস্ত দিশেহারা, তখনই যাদুকরেরা,
নিমেষে বানিয়ে দেয় বাগানের ফুল, ঠিক নির্ভুল।
এভাবে মেয়েরা সব একে একে ফুল হয়ে যায়...

নতুন বাগানে এসে, নিজেকে না ভালবেসে
ফুলের দলেরা শেষে, কথা বলে হেসে হেসে,
পদ্ম-গোলাপ-জুঁই, চম্পা-চামেলী, উলো টগর-শেফালী।
পোড়ারমুখীরা তোরা ফুল হয়ে রয়ে গেলি হায়...