Skip to main content

Posts

আমাকে আমার মত থাকতে দাও

আমাকে আমার মত থাকতে দাও আমি নিজেকে নিজের মত গুছিয়ে নিয়েছি, যেটা ছিলনা ছিলনা সেটা না পাওয়ায় থাক সব পেলে নষ্ট জীবন। তোমার ঐ দুনিয়ার ঝাপসা আলোয় কিছু সন্ধ্যের গুড়ো হাওয়া কাঁচের মত, যদি উড়ে যেতে চাও তবে গা ভাসিয়ে দাও দুরবিন চোখ রাখবো না না না। এই জাহাজ মাস্তুল ছারখার, তবু গল্প লিখছি বাঁচবার। আমি রাখতে চাই না আর তার, কোন রাত-দুপুরের আবদার। তাই চেষ্টা করছি বার বার সাঁতরে পাড় খোঁজার। কখনো আকাশ বেয়ে চুপ করে যদি নেমে আসে ভালবাসা খুব ভোরে, চোখ ভাঙ্গা ঘুমে তুমি খুঁজো না আমায় আসে পাশে আমি আর নেই। আমার জন্য আলো জ্বেলো নাকো কেউ আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ এই স্টেশন চত্ত্বরে হারিয়ে গিয়েছি শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না না না। তোমার রক্তে আছে স্বপ্ন যত, তারা ছুটছে রাত্রি-দিন নিজের মত, কখনও সময় পেলে একটু ভেবো- আঙ্গুলের ফাঁকে আমি কই? হিসাবের ভিড়ে আমি চাই না ছুঁতে যত শুকনো পেঁয়াজকলি ফ্রিজের শীতে, আমি ওবেলার ডাল-ভাতে ফুরিয়ে গেছি গেলাসের জলে ভাসবো না না না।

বাঁশুরিয়া

বাঁশুরিয়া বাজাও বাঁশী দেখি না তোমায় গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়। এ শহরে এসছো তুমি কবে কোন রাজ্য থেকে তোমাদের দেশে বুঝি সব মানুষই বাঁশী শেখে, আমাদের স্কুল কলেজে শেখে লোকে লেখা পড়া প্রাণে গান নাই মিছে তাই রবি ঠাকুর মূর্তি গড়া, তোমার ঐ দেহাতি গান দোলে যখন বাঁশির মুখে আমাদের নকল ভণ্ড কৃষ্টি চালায় করাত বুকে, বুকে আর গলায় আমার শহর কোলকাতায় গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়। ঠেলা ভ্যান চালাও তুমি কিম্বা ভাড়া গাড়ির ক্লিনার ক'বছরে একবার যাও তোমার দেশের নদীর কিনার, ফাক পেলে বাঁশী বাজাও ফেলে আসা ঘরের ডাকে দেশে গিয়ে এমন সুরে হয়তো ডাকো কোলকাতাকে, ফিরে এসে উদম খাটো গায়ে গতরে ব্যস্ত হাতে মজুরিতে ভাগ বসাচ্ছে কারা তোমার কোলকাতাতে, তাদেরই গাইয়ে আমি সাজানো জলসায় গেয়ো সুর ভেসে বেড়ায় শহুরে হাওয়ায়।

পাগলা সানাই

হাত পেতে নিয়ে চেটে পুটে খাই বিসমিল্লার পাগলা সানাই, হাত পেতে নিয়ে চেটে পুটে খাই স্মৃতি বিজরিত পাগলা সানাই। ছোট্ট বেলায় শুনেছি প্রথম কেউটে সানাই সুর পঞ্চম, খেয়েছে লোকটা এই মাথাটাই ধরেছে নেশায় খ্যাপাটে সানাই। কৈশোরে দেখা আকাশ কুসুম জানিনা কেন যে আসতো না ঘুম, অচেনা কষ্ট কি যাচ্ছে তাই রাতেরে নিয়েই শুনলে সানাই। যৌবনে প্রেম যেই না এলো জানিনা কেন যে কান্না পেলো, সেই প্রেম আজ তোমায় জানাই নাছোর বান্দা প্রেমিক সানাই। গেল যৌবন মাঝ বয়সে কান্না ঢাকতে শিখেছি হেসে, হাসি কান্নার এই দু’টানায় শেখালো্ আমাকে রসিক সানাই। বিস্ময় আজও গেলোনা আমার স্বপ্নে এখনও যৌথ খামার, তোমার জন্য গানই বানাই তোমার জন্য রইল সানাই।

নিষিদ্ধ ইস্তেহার

হাত থেকে হাতে বুক থেকে বুকে করে দেব গোপনে পাচার, ভালবাসার নিষিদ্ধ ইস্তেহার, ভালবাসার নিষিদ্ধ ইস্তেহার। আমি কি ডরাই আর ওদের ভ্রুকুটি, আজ আমার ছুটি, সারাদিন প্যাম্ফলেট বুকে নিয়ে ফিরি তার গোপন লালিমা, একদিন মুছে দেবে যুগের কালিমা। তোমার বন্দী দেহে চুপি চুপি এনে দেব, কারামুক্তির সমাচার ভালবাসার নিষিদ্ধ ইস্তেহার, ভালবাসার নিষিদ্ধ ইস্তেহার। পরোয়া করি না, কার কোথায় পাহারা, আমার চেহারা, ওদের ভালোই জানা, ওরা জানে কবেকার পোষা আক্রোশ, আমার মগজে ঘোরে, চেনেনা আপোষ, যতই লুকিয়ে থাকো, ওনয়ন ঢেকে রাখো, ভেঙ্গে দেব দুর্গ তোমার, আমার দাবি নিষিদ্ধ ইস্তেহার, ভালবাসার নিষিদ্ধ ইস্তেহার। মানি না ওদের বিধি, কি ধানের তরী, আমি বিশ্রী, একরোখা ক্ষতবিক্ষত এই মন, আমার স্বভাব, মানো আর নাই মানো, তোমারো অভাব, বরং স্বীকার কর, এসো এই হাত ধরো, ঠোঁট রাখো শরীরে আমার, আমি তোমার নিষিদ্ধ ইস্তেহার, ভালবাসার নিষিদ্ধ ইস্তেহার।

আমাদের জন্য

গড়িয়াহাটার মোড়, মিনি মিনি বাস বাস, বাসের টারমিনাসে, মন মরা সারি সারি মুখ চোখ নাক হাত, রোগা রোগা চেহারার কনডাক্টার সব আমাদেরই জন্য, সব আমাদেরই জন্য। চৌরঙ্গীর আলো এবং লোড শেডিং, পার্ক স্ট্রীট জমকালো, কাগজে হেডিং। আমাদেরই জন্য, সব আমাদেরই জন্য। বেদম ট্র্যাফিক জ্যাম, ঠান্ডা স্যালামি হ্যাম, চকলেট, ক্যাডবেরি, মাদার ডেয়ারী, আমাদেরই জন্য, সব আমাদেরই জন্য। বাজারের দরাদরি, রুটি ভাত তরকারি, সা নি ধা পা মা গা রে সা মাদার টেরেসা, আমাদেরই জন্য, সব আমাদেরই জন্য। কুঁয়াশা কুয়াশা কাদা, ভোর বেলা গলা সাধা, সারেগা রেগামা গামা গামাপা মাপাধা পাধা পাধানি ধানিসা– আমাদেরই জন্য, সব আমাদেরই জন্য। ফুটবোর্ডে ঝুলে যাওয়া, অথবা লেডিজ সীট- তাক্ করে উদাসীন, আকাশ কুসুম টিক্ টিক্- টিকিট কাটতে গিয়ে ব্যাজার মানুষ, খুচ্-খুচরো পয়সা নেই আমাদেরই জন্য, নেই আমাদেরই জন্য। সা গা পা ধানি ধানি পাধানি, সানিধা নিধা পাগা সাগা পাধানি, বছরে তিরিশবার চিত্রাঙ্গদা আর শ্যামা শাপ-মোচনের অশ্রু মোচন, আমাদেরই জন্য। গাজনের ছয়লাপ, আধুনিক কিং খাপ, কিং সাইজ ভজনের শিবের গাজন, আমাদেরই জন্য। সংস্কৃতির ঢাক...

ন’টায়

ন’টায় অফিস যাবার তাড়া মাথার চুলগুলো সব খাড়া ন’টায় রান্নাঘরে হুলুস্থুলু গিন্নি মাতায় পাড়া। ন’টায় ছেলেমেয়ের স্কুল ন’টায় হারায় কানের দুল আবার এই ন’টাতেই ছাদের টবে আপনি ফোটে ফুল। ন’টায় বড্ড সময় কম ন’টায় সবাই রেগে বোম ন’টায় তাড়াহুড়োয় ছিটকে পরে জামায় আলুর দম। ন’টায় ঘড়িটা ভীমরুল ফোটায় দুম করে তার হুল আবার এই ন’টাতেই ছাদের টবে আপনি ফোটে ফুল । ন’টায় বাসে ট্রেনে ভীড় দেখে গা করে চিড়বিড় ন’টায় দুধ খেলে তা গুতোর চোটে আপনা থেকেই ক্ষীর। ন’টায় ভুলের পরে ভুল ন’টায় ভাতের মধ্যে চুল আবার এই ন’টাতেই ছাদের টবে আপনি ফোটে ফুল।

Blowin' in the Wind

How many roads must a man walk down Before you call him a man? How many seas must a white dove sail Before she sleeps in the sand? Yes, how many times must the cannonballs fly Before they're forever banned? The answer my friend is blowin' in the wind The answer is blowin' in the wind. Yes, how many years can a mountain exist Before it's washed to the sea? Yes, how many years can some people exist Before they're allowed to be free? Yes, how many times can a man turn his head Pretending he just doesn't see? The answer my friend is blowin' in the wind The answer is blowin' in the wind. Yes, how many times must a man look up Before he can really see the sky? Yes, how many ears must one man have Before he can hear people cry? Yes, how many deaths will it take till he knows That too many people have died? The answer my friend is blowin' in the wind The answer is blowin' in the wind.

উত্তরও তো জানা

কতটা পথ পেরোলে তবে পথিক বলা যায় কতটা পথ পেরোলে পাখি জিরোবে তার দায় কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায় প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরও তো জানা। কত বছর পাহাড় বাঁচে ভেঙ্গে যাবার আগে কত বছর মানুষ বাঁচে পায়ে শিকল পড়ে ক’বার তুমি অন্ধ সেজে থাকার অনুরাগে বলবে তুমি দেখছিলে না তেমন ভালো করে। কত হাজার বারের পর আকাশ দেখা যাবে কতটা কান পাতলে পরে কান্না শোনা যাবে কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে, বড্ড বেশী মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে।

স্তব্ধতার গান

আজ আমি ফিরে এসেছি তোমার পাশে বসেছি বলো তোমার কথা শুনবো আজ শুনবো বলে তাই রাখিনি কাজ তোমার কথাহারা গান যার ঠিকানা জানা নেই- জানা নেই স্তব্দতার গান শুনো। প্রতিটি ঘরে ঘরে আর দেয়ালে প্রতি রাস্তার দেখেছি কথা বলে দার্শনিক শুনেছি কথা ভরা মাঙ্গলিক মানুষ মানুষের হাত ধরে মুখর হতে চায় প্রাণ ভরে তবু সে মুখরতার বুকে বাসা বাধে স্তব্ধতা – নীরবতা স্তব্ধতার গান শুনো। মানুষ কথা বলে যায় কথার কথা বলে যায় কথা বলে কথা না শুনেই কথা শুনে কথা না শুনেই কথার মানে থাকে না থাকে না তার কোন দাম- কোন দাম স্তব্ধতার গান শুনো। আমার চোখে রাখো চোখ কথার অবসান হোক এখন আর কোন শব্দ নয় এখন আর কোন কাব্য নয় এখন তুমি আমি আর কোন কথায় বাধা নেই – বাধা নেই স্তব্ধতার গান শুনো।

অজয় বাগদি

অজয় বাগদি ঝুলছে দেখ, মরুদ্যানের কয়েদখানায় দড়ি জোগায় পার্টি-পুলিশ তারাই গণতন্ত্র বানায়। নন্দীগ্রামের গান শুনলেই, মাওবাদী আর তেলেঙ্গানা কবীর সুমন গান বেঁধেছি বাঁধবি কাকে, কয়েদখানা? একনলা নয়, দোনলা নয়, নেহাৎ কিছু গানের সুরে মাও-কবীরের দোহার এখন, লিরিক-বারুদ দিচ্ছে পুরে। অজয় বাগদি জেলার ছেলে, বাগদি-ছেলের জ্যান্ত বুকে নন্দীগ্রামের খবর এখন,হাওয়ার সঙ্গে যাচ্ছে ঢুকে। তন্ত্র-গণ-তন্ত্র-গণ, মন্ত্র-গণ-সংসদীয় অজয় তোমার ভোটটা এবার, পাচ্ছে কারা বাতলে দিও। গানগুলো কি কালাশনিকভ? গানগুলো কি অন্তর্ঘাত? বাগদি-ঘরের ছেলে, অজয়, প্রসন্ন নয় তোমার বরাত। বরাত ভালো আমার বরং, বর্ণহিন্দু শহুরে প্রাণ। চাটুজ্যেটা কবীর হলেও,শ্রেণীর গন্ধ আমার এ-গান। জেহাদ ডাকছি, অজয়, শোনো,’হামলা’ বলো বিদ্রোহীরা আমার গিটার কালাশনিকভ, হোক না বুড়ো আমার শিরা। বদলা নেব গানেই আমি, কলির সন্ধ্যে এই তো সবে পরের বারে দেখবি আমার,বাগদি-ঘরেই জন্ম হবে।