Friday, November 23, 2012

মুখোশ

তোমাকে যেমন ভাবছে সবাই আসলে কি তুমি তাই
আমি তো আমার মুখোমুখি হলে দারুন লজ্জা পাই।

এই যে তোমার স্বচ্ছ দু’চোখ সবেতেই সাবলীল
অন্তরে আর বাহিরে তোমার আদৌ কি আছে মিল।

আমার কিন্তূ অগণিত পাপ যত্নে লুকিয়ে রাখা
অথচ দেখেছো মুখখানা কত পবিত্রতায় মাখা।

হাসিতে তোমার সঞ্চিত আজ যতখানি সরলতা
মুখের বুলিতে বিদ্রোহ আর সোচ্চার মানবতা।

যা কিছু মহান সুন্দর তুমি রপ্ত করেছো বেশ
তোমার মাঝেই শত সুন্দর করে যেন সমাবেশ।

কত সাধনায় মিথ্যে মুখোশে মুগ্ধ করেছো বটে
কানে কানে তবু গোপন কথাটি বলে যাই অকপটে।

বন্ধু আমাকে বানাতে কিন্তূ পারোনি আহাম্মক
মনের ভেতরে দেখেছি তোমার লোভী চক্‌চকে চোখ।

তোমাকে চিনেছি কেননা জানো তো রতনে রতন চেনে
আমিও নষ্ট ঘুণাক্ষরেও বুঝবে না দেখে শুনে।

যত সাধনায় মুগ্ধ করেছি মানুষের অন্তর
হৃদয়ে আমার ছিটেফোঁটা যদি থাকতো সে সুন্দর।

নিজেকে তখন মুগ্ধ চোখেই দেখতাম অবিরত
তোমার আমার হৃদয় হতো না মাকাল ফলের মত।

হিসেবের ভুল তোমার আমার মুখোশটা খুলে দিলে
ধরা পড়ে যাওয়া থতমত মন লজ্জিত ঢোক গেলে।

তাকালে যখন তোমার দু’চোখে সরাসরি সোজাসুজি
বন্ধু তোমার বিন্দুমাত্র লজ্জা করেনি বুঝি।

নিজেকে করেছো আড়াল মানুষ ঘেন্না করেনা যেন
বন্ধু তোমার নিজেকে কখনও ঘেন্না করেনি কেন?