Skip to main content

Posts

Showing posts from 2015

রোদন-ভরা এ বসন্ত

রোদন-ভরা এ বসন্ত কখনো আসে নি বুঝি আগে। মোর বিরহবেদনা রাঙালো কিংশুকরক্তিমরাগে। কুঞ্জদ্বারে বনমল্লিকা সেজেছে পরিয়া নব পত্রালিকা, সারা দিন-রজনী অনিমিখা কার পথ চেয়ে জাগে। দক্ষিণসমীরে দূর গগনে একেলা বিরহী গাহে বুঝি গো। কুঞ্জবনে মোর মুকুল যত আবরণবন্ধন ছিঁড়িতে চাহে। আমি এ প্রাণের রুদ্ধ দ্বারে ব্যাকুল কর হানি বারে বারে, দেওয়া হল না যে আপনারে এই ব্যথা মনে লাগে॥

নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জ

নীল অঞ্জনঘন পুঞ্জছায়ায় সম্‌বৃত অম্বর, হে গম্ভীর! বনলক্ষ্মীর কম্পিত কায় চঞ্চল অন্তর, ঝঙ্কৃত তার ঝিল্লির মঞ্জীর, হে গম্ভীর॥ বর্ষণগীত হল মুখরিত, মেঘমন্দ্রিত ছন্দে, কদম্ববন গভীর মগন, আনন্দঘন গন্ধে, নন্দিত তব উৎসবমন্দির, হে গম্ভীর॥ দহনশয়নে তপ্ত ধরণী পড়েছিল পিপাসার্তা, পাঠালে তাহারে ইন্দ্রলোকের অমৃতবারির বার্তা। মাটির কঠিন বাধা হল ক্ষীণ, দিকে দিকে হল দীর্ণ, নব অঙ্কুর-জয়পতাকায় ধরাতল সমাকীর্ণ, ছিন্ন হয়েছে বন্ধন বন্দীর, হে গম্ভীর॥

এ তুমি কেমন তুমি

এ তুমি, কেমন তুমি, চোখের তারায় আয়না ধরো, এ কেমন কান্না তুমি, আমায় যখন আদর করো! জন্মের আগেও, জন্ম পরেও, জন্ম তুমি এমন, সুরের গভীর সুরে পদাবলীর ধরণ যেমন। কথা নয়, নিরবতায় সজলতার আখর ভরো, এ কেমন কান্না তুমি, আমায় যখন আদর করো! এসেছি আগেও আমি, যখন তুমি পদ্মাবতী, কবেকার পুঁথির শোলক, তোমার মতই অশ্রুমতী। অশ্রুর একটি ফোঁটায় জন্ম আমার, আমার মরণ, নীরবে জাতিস্মরের গল্প বলা তোমার ধরন। ঝরেছ বৃষ্টি হয়ে আগেও তুমি, আবার ঝরো, এ কেমন কান্না তুমি, আমায় যখন আদর করো!

জয় যোগেন্দ্র

জয় যোগেন্দ্র জায়া মহামায়া, মহিমা অসীম তোমার, একবার দুর্গা বলে যে ডাকে মা তোমায়, তুমি করো তায় ভবসিন্ধু পার। মা, তাই শুনে এই ভবের কূলে, দুর্গা দুর্গা বলে বিপদ কালে তবু সন্তানের মুখ চাইলে না মা, পাষাণে প্রাণ বাঁধলে উমা? অতি কুমতি কুপুত্র বলে, আপনিও কুমাতা হলে তোমার জন্ম যেমনি পাষাণ-কুলে, ধর্ম তেমনি রেখেছো। দয়াময়ী, আজ আমায় দয়া করবে কি মা, কোন্ কালে বা করেছো?