Wednesday, May 16, 2012

এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে

এক হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর সাথে
সকাল বিকেল বেলা,
কত পুরোনো নতুন পরিচিত গান
গাইতাম খুলে গলা।
কত এলোমেলো পথ হেঁটেছি দু’জন
হাত ছিল না তো হাতে,
ছিল যে যার জীবনে দু’টো মন ছিল
জড়াজড়ি একসাথে।
কত ঝগড়া-বিবাদ সুখের স্মৃতিতে
ভরে আছে শৈশব,
তোকে স্মৃতিতে স্মৃতিতে এখনো তো
ভালোবাসছি অসম্ভব।
কেন বাড়লে বয়স
ছোট্টবেলার বন্ধু হারিয়ে যায়,
কেন হারাচ্ছে সব বাড়াচ্ছে ভিড়
হারানোর তালিকায়।
আজ কে যে কোথায় আছি
কোন খবর নেই তো কারো,
অথচ তোর ঐ দুঃখগুলোতে
অংশ ছিল আমারও।
এই চলতি জীবন ঘটনাবহুল
দু’ এক ইঞ্চি ফাঁকে,
তুইতো পাবিনা আমায়
আর আমিও খুঁজিনা তোকে।
কত সুখ পাওয়া হয়ে গেল,
তোকে ভুলে গেছি কতবার
তবু শৈশব থেকে তোর গান যেন ভেসে আসে বারবার।
আজ চলতে শিখে গেছি
তোকে নেই কিছু প্রয়োজন,
তবু ভীষন অপ্রয়োজনে তোকেই
খুঁজছে আমার মন।
তুই হয়তো ভালোই আছিস
আর আমিও মন্দ নেই,
তবু অসময়ে এসে স্মৃতিগুলো বুকে
আঁকিবুকি কাটবেই।
তুই কতদুরে চলে গেলি
তোকে হারিয়ে ফেলেছি আমি,
এই দুঃখটা হয়ে থাক
এই দুঃখটা বড় দামী।
সেই কোন কথা নেই মুখে,
শুধু চুপচাপ বসে থাকা,
ছিল যার যার ব্যথা তার তার বুকে
ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা।
আমি ভাবিনি তখন ভুলেও এমন
দু’জন দু’দিকে যাবে,
বুঝিনি আমার হৃদস্পন্দন
আমারই অচেনা হবে।
এই বিভক্ত পৃথিবীতে বড় শক্ত বাঁধন ছিল
হলো অহংকারের জয়, সেই বন্ধন ছিঁড়ে গেলো।
সেই অহংকারের খেলায় দু’জনে
জিতে গেছি একসাথে,
প্রতি ইটের জবাব পাথরে দিয়েছি
বিজয়ের মালা হাতে।
সেই বিজয়োল্লাস প্রতিধ্বনিত
মুর্ত আর্তনাদে,
আজ বুকের ভিতর মিষ্টি একটা
শৈশব শুধু কাঁদে।
আজ অবেলার অবসরে কেন লাগছে ভীষন একা,
কত হাজার বছর তোর হাতটাকে হয়নি তো ছুঁয়ে দেখা।
আমি কত কত বার আঁকি তোর ছবি
ভঙ্গুর কল্পনাতে,
আজও জ্বলে যাই আজও পুড়ে যাই
তোর দু’চোখের অবসাদে।
দ্যাখ্‌ নীল নীল নীল আকাশের মত
অনন্ত হাহাকার,
আজ বুকের ভেতর ভাঙছে ভাঙছে
ভেঙে সব চুরমার।
কোন শত্রুরও যেন প্রাণের বন্ধু
এমন দূরে না যায়,
শোন বন্ধু কখনো কোন বন্ধুকে
বলোনা যেন বিদায়।